কী জানালেন শুভেন্দু ?
শুভেন্দু অধিকারী এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, যাঁরা নশ্বর, তাঁরা নিজেদের সীমাবদ্ধতা জানুন। ঈশ্বরের উল্লেখ করার সময় অপবাদমূলক শব্দ ব্যবহার করবেন না। তাঁকে ছোট করার ক্ষমতা আপনার নেই। কেননা, তাঁর রাগ আপনাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পারে। হিন্দু দেবী মা কালী নিয়ে মন্তব্যের কারণেই মহুয়া মৈত্রের এই পরিণতি হল বলেই মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী। এক দেবীকে ‘অপমান’ করায় এই ভবিতব্য হলে বলে জানান শুভেন্দু। সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খাজির নিয়ে প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের মন্তব্য, ‘সংসদে উনি খুব বাড়াবাড়ি করছিলেন, তার ফলে সংসদের সিদ্ধান্ত সব চেয়ে বড় সিদ্ধান্ত। এটা মেনে নিতেই হবে’
কী বিতর্ক ছিল মহুয়ার?
প্রসঙ্গত, লীনা মানিমেকালাইয়ের তথ্যচিত্রের পোস্টারে দেবী কালী রূপে এক মহিলাকে ধূমপান করার বিষয় নিয়ে গোটা দেশে বিতর্ক হয়। সেই প্রসঙ্গে উত্তর দিতে গিয়ে মহুয়াকে মৈত্রকে হিন্দু দেবী মা কালীকে নিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা যায়। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি চূড়ান্ত বিরোধিতা এবং আন্দোলনে নামলে মহুয়া বলেন, ‘আমি কালীর উপাসক। ভয় পাই না। আর যা সত্যি তাকে ঠেকনা দেওয়ার অন্য শক্তির প্রয়োজন হয় না। বিজেপি যা করতে চায় করে নিক।’
মহুয়ার সদস্যপদ খারিজ
শুক্রবার লোকসভায় মহুয়া মৈত্রের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়। এদিন অর্থের বদলে প্রশ্ন বিতর্কে রিপোর্ট জমা দেয় এথিক্স কমিটি। এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর বিরোধীরা ওই রিপোর্ট পড়ার জন্য কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছিল। এমনকি, মহুয়া মৈত্রকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার জন্যেও সুযোগ করে দিতে বলা হয়েছিল। তবে স্পিকার এই বিষয়ে কোনও সুযোগ দেননি। মহুয়াকে কিছু বলার অনুমতি দেননি। আলোচনার পর ভোটাভুটিতে সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয় মহুয়া মৈত্রের।
মহুয়ার পাশে মমতা
এদিন মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর অবশ্য দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি জানান, অন্যায় ভাবে তাঁকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শুনে ‘আমি স্তম্ভিত’ বলে জানান তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দু’ঘণ্টার মধ্যে আলোচনা শুরু করা হল। আধ ঘণ্টায় ৪৯৫ পাতার আলোচনা হয়েও গেল! কী করে হল আমি বুঝলাম না। এরপর মহুয়ার সাংসদ পদও খারিজ করে দেওয়া হল।’