একই সঙ্গে কিশোরীদের আরও কিছু ‘কর্তব্য’ স্থির করে দিয়েছিল। পাশাপাশি এ-ও বলেছিল, ছেলেদের সবার আগে জানতে হবে মেয়েদের সম্মান করা ও তাদের ‘কর্তব্য’-এর প্রতিও শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। ৭ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানির জন্য নেয়। শুক্রবার সেই শুনানিতেই বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি পঙ্কজ মিথলের বেঞ্চ তীব্র ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্টের এ হেন রায়কে।
তাঁরা পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে আমরা মনে করছি মাননীয় বিচারপতিদের এমন বক্তব্য সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদের (জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার) পরিপন্থী, তা অ্যাডোলেসেন্টদের অধিকারকে খর্ব করছে। আমাদের মতে বিচারপতিদের নিজস্ব মত প্রকাশ বা উপদেশ দেওয়া সমীচীন নয়। এটা অত্যন্ত আপত্তিকর ও অবাঞ্ছিত।’
এর পরে শীর্ষ আদালত পশ্চিমবঙ্গ সরকার-সহ অন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নোটিস জারি করেছে। এই মামলায় তাদের সহায়তা করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট আদালত-বান্ধব (অ্যামিকাস কিউরি) হিসেবে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মাধবী দিভানকে নিয়োগ করেছে। তাঁকে সাহায্য করবেন অ্যাডভোকেট লিজ় ম্যাথিউ।
কলকাতা হাইকোর্ট যে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমন রায় দিয়েছিল, তা হল – একটি পকসো কেসে ১৭ বছরের কিশোর দোষী সাব্যস্ত হয় ধর্ষণের অভিযোগে। কিন্তু কিশোর-কিশোরীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ও শারীরিক মিলনও পরস্পরের সম্মতিতেই হয়েছিল।
এই মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বেঞ্চ বলেছিল, ‘বয়ঃসন্ধিতে সেক্সের প্রতি আকর্ষণ খুব স্বাভাবিক। কিন্তু সেক্সুয়াল আর্জ বা অ্যারাউজ়াল স্বাভাবিক নয়, কারণ তা কোনও না কোনও অ্যাকশনের থেকে অনুভূত হয়।’ সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়িতে বয়সভিত্তিক সেক্স এডুকেশনের প্রয়োজনীয়তার কথা।