সাংগঠনিক বৈঠকে অনুব্রত স্টাইলে
গোরু পাচারকাণ্ডে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। তৃণমূলর সাম্প্রতিক সাংগঠনিক রদবদলে অনুব্রতর জেলা সভাপতি পদ রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জেলা সভাপতি থাকাকালীন প্রত্যেক ভোটের আগে বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন করতেন তিনি। ভোটের আগে জেলার নেতাকর্মীদের কী করণীয় তা বলে দিতেন কেষ্ট। সেই কায়দায় এবার জেলা কোর কমিটির উদ্যোগে সিউড়িতে বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন হল এদিন।
কী বললেন তৃণমূল নেতারা?
বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, ‘এখন থেকে আপনারা তৈরি হন। বুথে সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে। নুষের সঙ্গে মিশতে হবে। নির্বাচন আর খুব বেশি দেরি নেই। আমাদের হাতে সময়ও কম। সেই কারণে এখন থেকে দলের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, ‘আপনাদের কাজে খামতি রয়েছে। আপনারা বুথে বুথে ঘুরছেন না, মানুষকে বোঝাচ্ছেন না। সাংসদ কী কাজ করছেন আপনারা মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারছেন না। আমাদের এখানে কোনও গ্রুপ নেই। যাঁরা দলের মধ্যে উপদল তৈরির চেষ্টা করছেন, তাঁদের সাবধান করছি। এবার বোঝাতে হবে এবং বোঝা যাবে যে পঞ্চায়েত ভোট সঠিক হয়েছে না বেঠিক। মানুষ ভোট দিয়ে আমাদের জিতিয়েছে নাকি আমরা এমনি জিতেছি। সেটাই এবার বোঝা যাবে। বিরোধীদের সাঁড়াশি আক্রমণ করে দুটো আসনে দলকে জেতাতে হবে।’
এদিনের কর্মীর সম্মেলনে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, ‘এখানে দলের কর্মীদের মধ্যে বিরোধীদের অনেকে লুকিয়ে থাকতে পারেন৷ তাঁরা শুনে নিন, আমরা যে লড়াই শুরু করেছি তা চলবে। আমাদের নিজেদের মধ্যে কিছু ভুলভুলি থাকে সেটা মিটিয়ে ফেলতে হবে। পরিয়ায়ী পাখির মত এখানে এসে লাভ হবে না। বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবে তৃণমূল। কোনও জায়গায় যদি আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে তাহলে সেটাকে বসে মিটিয়ে দিতে হবে।’