Gobindobhog Rice : অকাল বৃষ্টিতে নষ্ট বিস্তীর্ণ চাষের জমি, বাড়ন্ত হবে গোবিন্দভোগ চাল? – gobindobhog rice cultivation under threat for untimely rain at purba bardhaman


বাঙালিদের ঘরে অতি প্রিয় গোবিন্দভোগ চাল। সুগন্ধি এই চালের নানা পদে রসনায় আনে তৃপ্তি। অথচ, সেই চালের ধান ফলাতে গিয়ে মহা সমস্যায় চাষিরা। একদিকে, গোবিন্দভোগ চালের রপ্তানি কর বাড়ানোয় রাইস মিল মালিকরা মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। অন্যদিকে, অকাল বৃষ্টির জেরে পচন ধরেছে গাছে। খরচের টাকাটুকু উঠবে কিনা সেই নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় চাষিরা।

কী জানা যাচ্ছে?

গোবিন্দভোগ চালের উপর কেন্দ্রীয় ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক বৃদ্ধির জেরে একপ্রকার বন্ধ গোবিন্দভোগ চালের রফতানি। ফলে এমনিতেই দাম নেই ধানের। তার উপর আবার নিম্নচাপের জেরে অকাল বর্ষণে জলের তলায় বিঘের পর বিঘে ধানের জমি। একেই বোধহয় বলে মরার উপর খাঁড়ার ঘা। লাভ তো দূর অস্ত, চড়া দামে বীজ, সার,কীটনাশক কিনে চাষ করার পর বিঘে প্রতি খরচের টাকাটুকুই উঠবে কি না আশঙ্কায় শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানের চাষিরা।

সমস্যায় চাষিরা

গোবিন্দভোগ ধানের আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমানের রায়না, খন্ডঘোষ ও জামালপুর এলাকা। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এখানে গোবিন্দভোগ ধানের চাষ হয়ে থাকে। তবে সেই বিঘের পর বিঘে জমিতেই অকাল বৃষ্টিতে জল জমে। কোথাও আবার জমির উপর দিয়েই বইয়ে জল। একরাশ উদ্বেগ নিয়ে কোনওরকমে জল সরিয়ে জমির ধানটুকু বাড়িতে তোলার চেষ্টা করছেন চাষিরা।

কী বলছেন চাষিরা?

খন্ডঘোষ ব্লকের গৌরাঙ্গ রোড এলাকার গোবিন্দভোগ ধান চাষের সাথে যুক্ত সেখ নিজামুদ্দিন, সেখ সওকত আলি ও জালাল উদ্দিন মণ্ডলরা জানান, প্রতিনিয়ত বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে, কিন্তু সেই তুলনায় ধানের দাম বাড়ছে না। অন্যদিকে, গোবিন্দভোগ ধান সরকার সহায়ক মূল্যে কেনে না। এই ধান মূলত বিদেশে রফতানি হয়। কিন্তু গত বছর থেকে গোবিন্দভোগ চাল রপ্তানির উপর কেন্দ্রীয় সরকার ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক বৃদ্ধি করায় একপ্রকার রফতানি বন্ধ আছে।

Black Rice: রাজ্যে বাড়ছে কালো ধানের চাষ, কত খরচ? লাভ কেমন? রইল খুঁটিনাটি
ফলে রাইসমিল মালিকরাও ধান কিনছে না। তাই ধানের দাম এমনিতেই কুইন্টাল প্রতি ১২০০-১৫০০ টাকা কম। তার উপর আবার নিম্নচাপের জেরে ধান কাটার সময়ই সেই পাকা ধান জলের তলায়। এরপর এই ধান তুলে বিক্রি করতে গেলে দাম পাওয়া যাবে না। তাই লাভ তো দূর অস্ত,বিঘে প্রতি খরচ টুকুই উঠবে না। উল্লেখ্য,পূর্ববর্ধমান জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে গোবিন্দভোগ ধানের চাষ হয়েছিল। যার অধিকাংশ ধানই এখন কাটার কাজ চলছে। বৃষ্টির ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা যাবে না, হিসেব-নিকেশ চলছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *