কী ঘটনা?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়া শ্মশান সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। লটারি কেটে সম্প্রতি ৪৫ হাজার টাকার নগদ পুরস্কার জেতেন কৃষ্ণপদ। তিনি বানীপুর ইদনা নতুন কলোনি এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রতিদিনের মতো এদিনও বাড়ি থেকে রাজমিস্ত্রির কাজে বের হন কৃষ্ণপদ।
কৃষ্ণপদ কাজে বেরনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকায় খবর আসে, স্থানীয় পুকুরে ভাসছে তাঁর দেহ। প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজন এরপর ছুটে যান পুকুরের ধারে। গিয়ে দেখেন জল থেকে তুলে তাঁকে পুকুর পাড়ে শুয়ে রাখা হয়েছে। এরপরই স্থানীয়রা তাঁকে দ্রুত হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কাজের নামে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কী ভাবে যুবকের দেহ পুকুর থেকে উদ্ধার হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে কি লটারি টাকা নেওয়ার জন্যই খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে ওই যুবককে! উঠছে সেই প্রশ্নও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় হাবড়া থানার পুলিশ। পরিবারের তরফে লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
যুবকের মৃত্যুতে রহস্য
লটারির টাকার জন্যই কি যুবককে খুন করা হয়েছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। যুবকের সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল মিলছে না বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। গোটা ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা।
বিস্ফোরক দাবি করেছেন মৃতের আত্মীয় স্বপন ঢালি। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কৃষ্ণপদ আমার আত্মীয়। আমার ধারণা তাঁকে খুন করা হয়েছে। সকাল বেলার কাজে যাওয়ার নামে বাড়ি থেকে বের হয়। সকালে শ্মশানে বসে বন্ধুদের সঙ্গে সম্ভবত মদ্যপান করছিল। কারণ মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমার মনে হয় ওঁকে মেরে টাকা নিয়ে দেহ জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে বলে মনে হয়। আমরা দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি করছি।’