কী বললেন শুভেন্দু?
শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘আজকে যে মহিলা কেশ বিসর্জন করলেন তিনি কি বাংলার মেয়ে নয়?’ শুভেন্দু বলেন, ‘বিদ্যাসাগরের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমাদের সমাজের যুবতীরা উচ্চ শিক্ষিত হয়ে চাকরি খুঁজছেন। তাঁরা টেট পরীক্ষার কোয়ালিফাই করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন প্রার্থী আজকে নিজের কেশ বিসর্জন দিয়ে প্রতিবাদ করলেন। যাঁরা ২০২১ সালে বলেছিলেন বাংলা নিজের মেয়ে চায় বলেছিলেন, তাঁদের আজ খুঁজছি। এই মেয়েটি কি আমাদের বাংলার মেয়ে নয়।’ এই সমস্যার একমাত্র সমাধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সকলকে জেলে ঢোকানো বলে দাবি করেন শুভেন্দু।
এসএসসি আন্দোলন
প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রায় ১০০০ দিন ধরে প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে আসছেন চাকরি প্রার্থীরা। শনিবার চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন হাজার তম দিনে পড়ল। এদিন নিজের কেশ বিসর্জন দিয়ে এক চাকরি প্রার্থী প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আর পারছি না। বাধ্য হয়ে মাথা ন্যাড়া করলাম। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। জানতে চাই, কী করলে হকের চাকরি পাব?’ এই অনশন মঞ্চেই এদিন একের পর এক রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপস্থিত হতে দেখা যায়। একদিকে, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, অন্যদিকে আন্দোলনের মাঝেই এদিন মঞ্চে গিয়ে হাজির হন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আগামী সোমবার চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা দেন তিনি।
অন্যদিকে, রাজ্যে অকাল বৃষ্টির জেরে একাধিক জায়গায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষকদের অসহায়তার কথা উঠে আসছে। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আসার আগে কেন মাইকিং করা হল না ? কেন সতর্ক করা হলো না?’
ইন্ডিয়া জোট
অন্যদিকে, আগামী ১৭ নভেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও সময় চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে জানান। বিষয়টা নিয়ে শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বছরে দুবার করে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করেন আর ভাঙা রেকর্ড বাজান। ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে। গয়া এগিয়ে ওদের নামে পিন্ডি দান করে আসা উচিত।’