উত্তরবঙ্গে চা বলয়ের জমি পোক্ত করতে ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৃণমূল ধাপে ধাপে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। দলের চা শ্রমিক সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় চা-বাগানে চা সুন্দরী প্রকল্প, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ক্রেশ তৈরি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক সভা থেকে চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী বলেও জানানো হয়েছে।
জোড়াফুল ক্রমেই চা বলয়ে নিজেদের জমি শক্ত করছে দেখে বিজেপিও এবার চা শ্রমিক সম্মেলন করে নিজেদের জমি ধরে রাখতে চাইছে। বিধানসভায় বিজেপির সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘চা শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমরা লাগাতার সোচ্চার রয়েছি। বিধানসভাতেও চা শ্রমিকদের দাবির কথা তুলেছি। চা শ্রমিকরা আগেও বিজেপির সঙ্গে ছিলেন, এখনও বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন।’
কয়েক বছর আগেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির উপস্থিতিতে বিজেপি চা শ্রমিকদের নিয়ে সমাবেশ করেছিল। যদিও সেই কর্মসূচি পুরোপুরি সফল হয়নি। এবার শুভেন্দুকে সামনে রেখে বিজেপি কোমরবেঁধে সম্মেলন করতে চাইছে। প্রতিটি চা বাগান থেকে শ্রমিকদের ওই অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিজেপির এই তোড়জোড় দেখে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারে উত্তরবঙ্গে এসে প্রধানমন্ত্রী সাতটি চা বাগান অধিগ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
কিন্তু এখনও একটি চা বাগানও অধিগ্রহণ হয়নি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেটে চা শিল্পের জন্য যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, সেই প্যাকেজের এক টাকাও পশ্চিমবঙ্গ পায়নি। নরেন্দ্র মোদী সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করেছেন। চা শ্রমিকরা এই পার্থক্য বোঝেন।’