Book : বিয়ের নিমন্ত্রণের ‘উপহার’ গল্পের বই, অভিনব আয়োজন রায়গঞ্জের হবু বরের – book as a gift given with inviting cards by a groom at raiganj uttar dinajpur good news


মানুষের শ্ৰেষ্ঠ বন্ধু হল বই। মোবাইলের যুগে দুই মলাটের ভেতরে বাঁধানো কাগজের পাতায় বইয়ের কদর কমছে বলে জানান দেন অনেকেই। তাই কি? বই বিক্রির দিক থেকে কলকাতা সহ এ রাজ্য কিন্তু অনেকটাই এগিয়ে। তবে কেনার পাশাপাশি উপহার হিসেবে বই দেওয়ার চল বহুদিনের। তবে এবার উলটপুরাণ রায়গঞ্জে। আমন্ত্রিতদের জন্য নিমন্ত্রণ কার্ডের সঙ্গে একটি করে বই উপহার দিলেন স্বয়ং হবু বর।

কী এই উদ্যোগ?

আধুনিক ডিজিটাল যুগে কোথায় যেন হারিয়ে যেতে বসেছে গল্পের বই পড়ার প্রবণতা। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের যুগে গল্পের বই পড়ার যে প্রবণতা ছিল তা ক্রমশ চাপা পড়ে যাচ্ছে মোবাইল, ল্যাপটপে। সেই প্রবণতা যেন হারিয়ে না যায়, তাকে উজ্জীবিত রাখতেই অভিনব প্রয়াস রায়গঞ্জের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ সরকারের। নিজের বিয়ের কার্ডের সঙ্গে একটি করে গল্পের বই উপহার দিয়ে এই অভিনব প্রয়াস করেছেন প্রসেনজিৎ সরকার।

বিয়ের কার্ডের সঙ্গে বই

উল্লেখ্য, অগ্রহায়ন মাস পরতেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের মরশুম। চারিদিকে বাজছে সানাইয়ের সুর। আর এই আবহে রায়গঞ্জ শহরের বীরনগরের সরকার বাড়িতে ছেলের বিয়ে উপলক্ষ্যে তোড়জোড় চলছে জোর কদমে। এই বাড়ির ছেলে প্রসেনজিৎ সরকারের বিয়ে আগামী ১৫ই ডিসেম্বর। এরই মধ্যে এই বিয়েবাড়ির আমন্ত্রণপত্রে অভিনবত্ব প্রয়াস লক্ষ্য করা গেল। তাঁরা আত্মীয় পরিজনদের বাড়িতে কার্ডের সঙ্গে গল্পের বই বিতরণ করছেন। সত্যি! এমন দৃশ্য সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন চিন্তা ভাবনা?

কী জানালেন পাত্র?

পাত্র প্রসেনজিৎ জানান, বর্তমান ডিজিটাল যুগে আমরা সবাই মোবাইল, ল্যাপটপে আসক্ত। বই পড়ার প্রবনতা এখন নেই বললেই চলে। কিন্তু একটা সময় বই ছিল অবসর সময় অতিবাহিত করার একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু আজ সেসব অতীত। তাই পুরোনো দিনের সেই অনুভূতিকে জাগিয়ে তুলতেই এমন উদ্যোগ।

North Bengal Book Fair : উত্তরবঙ্গ শীঘ্রই শুরু বই উৎসব! বিক্রিতে ভাঙবে গত বছরের রেকর্ড?
পরিবার কী বলছে?

প্রসেনজিতের মা স্বপ্না সরকারও এই অভিনব আয়োজন ঘিরে বেশ উৎসাহিত। তিনি জানান, বই পড়ার আগ্রহ এখন আর তেমন দেখা যায় না। বইয়ের সাথে মানুষের দুরত্ব তৈরী হয়ে গিয়েছে। তাই সাধারণ মানুষ যাতে আবার বইয়ের দিকে ঝুঁকে সেই বার্তা দিতেই এই চিন্তা ভাবনা। এতে আত্মীয় পরিজনদের থেকে যথেষ্ট সাড়া মিলছে বলে জানান স্বপ্না দেবী। প্রসেনজিতের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তার বন্ধুরা। তার বন্ধু দেবার্ঘ্য দত্ত জানান,এত সুন্দর ভাবনা কল্পনাতীত৷ তারাও বেশ খুশী। বইয়ের গুরুত্ব প্রাধান্য পেয়েছে বিয়ের কার্ডে। যা দেখে এমন পরিকল্পনা নেবেন অন্যরাও।
আর মাত্র ৪ দিন। তার পরই চার হাত এক হবে। সরকার বাড়িতে বাজবে সানাই। সকলের শুভকামনায় রচিত হবে নতুন জীবন। আর বইয়ের মাধ্যমে তা স্মৃতি হয়ে থাকবে আত্মীয় পরিজন ও আমন্ত্রিতদের মনে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *