Die in Harness : ডাই-ইন-হারনেস চাকরি, পাকা হতে শর্তের গেরো – according to a finance department directive legal heirs of those who died in service are facing a crisis


পার্থসারথি সেনগুপ্ত
চাকরির বাজারে সবচেয়ে লোভনীয় সরকারি চাকরি, কারণ এ-সব পাকাপোক্ত পদ। মাস গেলে মাইনে বাঁধা। লকআউট-ক্লোজার, ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা নেই। বছর গেলে মাইনেও বাড়ে। সব মিলিয়ে ফুরফুরে মেজাজে জীবনটা কাটতে পারে। কিন্তু এ বার ব্যতিক্রম হতে চলেছে। বিশেষ করে ডাই-ইন-হারনেসে যে প্রার্থীরা চাকরি পাচ্ছেন, তাঁদের চাকরি পাওয়া মাত্রই আর পাকা হচ্ছে না। শর্তপূরণ করতে হবে।

সাধারণ ভাবে রাজ্য সরকার এই প্রার্থীদের সম্পর্কে যে সহানুভতিশীল, তা অর্থ দপ্তরের ২৪ নভেম্বরের একটি নির্দেশিকায় স্পষ্ট। তাতে বলা হয়েছে, ‘অনেক কর্মী যাঁরা চাকরিরত অবস্থায় মারা গিয়েছেন, তাঁদের পুত্র/কন্যা বা বৈধ উত্তরাধিকারী ডাই-ইন-হারনেসে লোয়ার ডিভিশন ক্লার্কের চাকরি শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী পেতেই পারেন। কিন্তু সেই সব পরিবার ইদানীং সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছে। কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। কারণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট অনেক প্রার্থীরই করণিকের চাকরি মিলছে না।

কেননা, যে সব প্রার্থী ওই পদে মনোনীত হচ্ছেন, তাঁদের চাকরির শর্ত অনুযায়ী কম্পিউটারে বাংলা ও ইংরেজি টাইপে দক্ষতার পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। কিন্তু সরকারি স্তরে সেই টাইপের পরীক্ষা কোন বিভাগ বা দপ্তর নেবে–তা নিয়ে এতদিন জটিলতা ও সংশয় ছিল। ফলে অন্য সব যোগ্যতা সত্ত্বেও চাকরি পাওয়াটা আটকে যাচ্ছিল।’ সমাধানের সূত্র হিসেবে অর্থকর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এ বার নেতাজি সুভাষ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এই পরীক্ষা নেবে। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে অবশ্য তাঁদের চাকরিতে যোগ দিতে দেওয়া হবে। পরে প্রবেশন পিরিয়ড অর্থাৎ দু’বছরের মধ্যে তাঁদের ওই পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।

অর্থ-নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, যদি কেউ তাতে উত্তীর্ণ না হন, তা হলে তাঁদের চাকরিতে ‘কনফার্মেশন’ হবে না, মানে চাকরি পাকা হবে না। তাঁদের বেতনবৃদ্ধিও স্থগিত থাকবে। সে ক্ষেত্রে প্রবেশন পিরিয়ডের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে। তবে সেই বর্ধিত সময়ের সময়ের মধ্যে তাঁদের টাইপিং পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। তখনই মিলবে পাকা চাকরি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *