Mahesh Jagannath Temple : কলকাতার আগে মাহেশে গীতাপাঠের আয়োজন! উপস্থিত তৃণমূলের কল্যাণ-প্রদীপ, খোঁচা লকেটের – gita path ceremony celebrated at serampore mahesh jagannath temple hooghly


কলকাতায় লাখ মানুষের কণ্ঠে গীতা পাঠ নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা। ওই অনস্থানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে শ্রীরামপুরের মাহেশে আয়োজন করা হল সহস্র কণ্ঠে গীতা পাঠ অনুষ্ঠান। যদিও গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই অনুষ্ঠানে বিরোধী দলের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, যেভাবে এঁরা সারা রাজ্য জুড়ে দুর্নীতি করেছে, তাতে গীতা পাঠ করলেও এঁদের পাপক্ষয় হবে না। সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

কী জানা যাচ্ছে?

সহস্র কণ্ঠে গীতা পাঠ শুরু হল শ্রীরামপুরের মাহেশে। শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মাহেশ জগন্নাথ দেবের মন্দিরে বসেছে গীতা পাঠের আসর। সকাল ১০:০৫ মিনিটে নারায়ণ শিলাকে নামিয়ে নিয়ে আসা হয় যজ্ঞের সামনে। সেখানে ২০০০ জন ব্রাহ্মণ মিলে চলছে গীতা পাঠ। গীতার ১৮ অধ্যায়ের প্রথম, দ্বিতীয়, দ্বাদশ, পঞ্চদশ ও অষ্টাদশ অধ্যায় পাঠ করা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্ত ও গীতা প্রেমীরা পাঠে অংশ নেন।

গীতা পাঠ অনুষ্ঠানের কেমন আয়োজন?

সকাল ১১ টায় শুরু হয় গীতা পাঠ। উলু ও শঙ্খ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মন্দির চত্বর। সেখানে উপস্থিত হন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক সুদীপ্ত রায় সহ বিশিষ্টরা। পুরোহিতদের সঙ্গে গীতা হাতে পাঠ করতে দেখা যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রদীপ মজুমদারকে।

কী বললেন কল্যাণ?

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের পর সব থেকে পুরনো মন্দির মাহেশের জগন্নাথ দেবের মন্দির। সারা বাংলার মানুষের আবেগ জগন্নাথ দেবের মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ সারা বছরই বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে। এটা নতুন কিছু নয়। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। উত্তরবঙ্গে থাকার কারণে তিনি আসতে পারেননি। তাই আমাকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছে। যদিও এর আগে রথের সময় তিনি এসেছেন এবং রথের রশিতে টান দিয়েছেন। আমি ঈশ্বর মানি। মমতাদি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেন। সমস্ত ধর্মকে আমরা বিশ্বাস করি।

২৪ শে ডিসেম্বর ব্রিগেডে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সে প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, ‘মাহেশের অনুষ্ঠান নতুন নয়, তাঁরা নতুন করে করেছে। হিন্দু ধর্ম বিজেপির কোনও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। বিজেপির কটা লোক হনুমান চল্লিশা পরে বলুন? আমি নিজে চামদানিতে হনুমানজির মন্দির তৈরি করিয়ে দিয়েছে। আমরা করি, আমাদের দেখাতে হয় না। ওদের দেখাতে হয়।’

Suvendu Adhikari : কৃষকদের ‘কুকথা’ ওসির! ‘আমি আসছি…ক্ষমা চাওয়াব’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার কী বললেন?

মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, বিশ্ব শান্তির যোগ্য বৈশিষ্ট্যময় প্রাচীন স্থানে হচ্ছে যেখানে পৃথিবীর সব থেকে পুরনো বিগ্রহ রয়েছে। যেখানে বলভদ্র, সুভদ্রা ও জগন্নাথ দেব সেই স্থানে বিশ্ব শান্তির জন্য যোগ্য হচ্ছে এবং ভগবত গীতার পাঁচটি অধ্যায় পাঠ করা হচ্ছে। ঈশ্বরের কৃপায় বিশ্ব শান্তি বিরাজ করুক। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি এখানে এসেছি, কিন্তু তিনি বিশেষ কাজে বাইরে থাকার জন্য আসতে পারেননি। মন্দির প্রাঙ্গণকে উন্নত করার জন্য উনি অনেক রকম সাহায্য করেছেন। মন্দির সবার জন্য উন্মুক্ত এখানে আসার জন্য বিশেষ কাউকে আমন্ত্রণ লাগে সেটা আমার জানা নেই। আমি নিজে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে গিয়েছিল তার জন্য নিমন্ত্রণের প্রয়োজন হয় বলে আমার জানা নেই। আগ্রহ থাকলে ঈশ্বরের কাছে যে কেউ আসতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *