কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী?
এদিন তিনি জানান, প্রত্যেকে বছর রাজ্যের কৃষকদের সহায়তার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। বছরে দুই দফায় এই টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে কৃষকদের একাউন্টে ৫ হাজার টাকা করে ঢুকে যাবে । পাশাপাশি তিনি আরও জানান, উত্তরবঙ্গে ২৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে ক্ষুদ্র এ মাঝারি শিল্পে। তিনি জানান, কৃষকদের যাঁদের শস্য বিমা করা আছে। তাঁরা টাকা পাবেন। খরিপ চাষের টাকা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢুকে যাবে।
সারা রাজ্যে কৃষি বন্ধু প্রকল্পে এই টাকা পাবেন কৃষকরা। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ার জেলায় ৯০ হাজার কৃষক এই সুবিধা পাবেন। রাজ্যে কৃষকরা ন্যায্য সহায়ক মূল্য পাচ্ছে না, এমনকি কৃষকরা রাজ্যের কাছে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। মমতা এদিন বলেন, ‘বৃষ্টিতে যাঁদের জমি নষ্ট হয়েছে, শস্য বিমার টাকা সরকার এখন নিজে দেয়। আপনাদের কৃষির জমি মিউটেশন করতে কোনও মূল্য লাগে না। কৃষি জমিতে সেজ তুলে দিয়েছি, আপনরা যাঁদের শস্য বিমা করা আছে, তাঁরা সকলেই টাকা পাবেন।’ কৃষকদের এ ব্যাপারে দুয়ারে সরকারে আবেদন করার জন্য জানান মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, অকাল বর্ষণের কারণে রাজ্যের একাধিক জেলায় কৃষকদের জমি নষ্ট হয়েছে এই মাসে। অনেক জায়গায় চাষিদের মৃত্যুর খবর উঠে আসছে বিভিন্ন জেলা থেকে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। রাজ্য সরকার কৃষকদের পরিপন্থী হয়ে উঠেছে বলেও সমালোচনা করেন তিনি। ঝড়বৃষ্টির আগে সরকারের তরফে কৃষকদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল বলে দাবি করেন বিজেপি বিধায়ক
জল প্রকল্পের ব্যাপারে ঘোষণা
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে আলিপুরদুয়ার জেলায় বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এই জেলায় ইতিমধ্যে ৪৩ হাজার মানুষের বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলায় আরও ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।