মেদিনীপুর শহরে কলেজ ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১২তম জেলা বইমেলা। আর সেখানেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। এদিন এই বিশেষ কর্মসূচিতে যোগ দেন ২০টি থানা এলাকা থেকে ১৬০ জন পড়ুয়া। আর এদিনের কর্মসূচিতে যোগ দিতেই এসেছিলেন দাঁতনের থানার মকরামপুরের বাসিন্দা কালাচাঁদ শিট।
তিনি ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করছেন এবং তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। কালাচাঁদ জানান, পড়াশোনা শেষে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে চান তিনি। কিন্তু, তার জন্য যে বই লাগবে তা তাঁর কাছে নেই। এমনকী, সেই বই কেনার সামর্থ্যও তাঁর নেই। এরপরেই তাঁকে বই কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ সুপার।
বই পড়ার আগ্রহ বাড়াতে এই উদ্যোগে অংশ নেওয়া বলে জানান মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। ধৃতিমান সরকার পড়ুয়াদের হাতে ২ হাজার টাকার গিফট ভাউচার তুলে দেন। প্রতিযোগিতামূলক বা অন্যান্য বই কেনার জন্য এই গিফট ভাউচার দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিনের কর্মসূচিতে পুলিশ সুপার ছাড়াও অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার, ডিএসপি এবং এসডিপিওরা অংশ নেন। পড়ুয়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর নিজেকে তাঁদের বড় দাদা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য পথ দেখান ধৃতিমান। তিনি বলেন, ‘অভিভাবকরা তোমাদের চলার পথ পরিচালনা করেন। আর আমি তোমাদের দিশা দেখানোর জন্য ডেকেছি। কেরিয়ারের মোড় কোন দিকে নিয়ে যাবে, তা তোমাদেরই ঠিক করতে হবে। কোথায় তোমরা শক্তিশালী এবং কোন ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে তা তোমাদেরই ঠিক করতে হবে। কোনও কথা বলার সময় তোমাদের চিন্তাভাবনা করে তা বলতে হবে। তৈরি করতে হবে রুটিন।
পড়ুয়াদের পরিশ্রম এবং অধ্যাবসা নিয়ে সতর্ক করার জন্য ‘ক্যাপ্টেন কুল’ অর্থাৎ মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া, রিলস দেখা থেকে বিরত থেকে বই পড়লে মন বিকশিত হবে, পরামর্শ দেন পুলিশ সুপার। মেডিক্যাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিভাগের পড়ুয়ারা এদিন এসেছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিতে যোগ দিতে। এদিন আইএফএ মহিলা ফুটবল লীগের রেফারি শালবনী থানার সিভিক ভলান্টিয়ার তাজুনা মণ্ডলকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।