শুক্রবার একটি মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, ২০২৪ সালে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই এই বৈধ কলেজগুলির তালিকা প্রকাশ করতে হবে রাজ্য নার্সিং কাউন্সিলকে।
কোনওভাবেই যাতে পড়ুয়ারা প্রতারিত না হয় সেই কারণে এই নির্দেশ অত্যন্ত কার্যকরী হতে চলেছে বলে মতামত ওয়াকিবহাল মহলের। আদালত আরও জানিয়েছে, এই কলেজগুলির তালিকা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এছাড়াও RNI নম্বরযুক্ত ইংরেজি এবং বাংলা সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তিও জারি করতে হবে।
উল্লেখ্য, বাঁকুড়ার একটি কলেজে ভর্তি নিয়ে এই মামলা করা হয়েছিল। সেখানে একটি নার্সিং স্কুল বিজ্ঞাপন দেয় ভর্তির জন্য। কেন্দ্র সরকারের অনুমোদন নিয়ে তা চলছে, এমনটাই দাবি ছিল তাদের। আর এরপরেই সেখানে ভর্তি হন বহু পড়ুয়া। কিন্তু, পরবর্তী ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ওই নার্সিং স্কুলটির কোনও বৈধতা নেই।
বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নার্সিং কাউন্সিল, স্বাস্থ্য ভবন, জেলাশাসক, থানাকে জানিয়েও সমস্যা না মেটার অভিযোগ ওঠে। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আটজন পড়ুয়া। ওই পড়ুয়াদের অভিযোগ, ‘যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল সেখানে বলা হয় যে কলেজটির কেন্দ্রের অনুমতি রয়েছে। এরপরেই তাঁরা ফিজ দেন এবং ভর্তি হন। পরবর্তীতে তাঁরা জানতে পারেন কলেজটির কোনও বৈধতা নেই। এরপর ফিজ ফেরত দেওয়া দূরে থাক তাঁদের সমস্ত সার্টিফিকেট আটকে রেখেছে কলেজ।
এই মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাটি শোনার পর ডিরেক্টরদের গ্রেফতারির নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি নতুন করে যাতে কোনও পড়ুয়া প্রতারিত না হয় সেই জন্য বৈধ কলেজগুলির তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
পাশাপাশি মামলাকারীর আইনজীবী ওই পড়ুয়াদের সমস্ত অরিজিনাল সার্টিফিকেট ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানানো হয়েছে মামলাকারীর আইনজীবীর পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর নার্সিংয়ের জন্য় বহু পড়ুয়া আবেদন করেন। তাঁরা সরকারি কলেজে সুযোগ না পেয়ে বেসরকারি কলেজে ভর্তি হন। সেক্ষেত্রে এই কলেজগুলির তালিকা হাতে থাকলে প্রতারণার সম্ভাবনা কমবে।