শনিবার সন্ধ্যায় ৬টা ৫০ মিনিট নাগাদ কলকাতায় এসে পৌঁছয় এই দুই সাইবেরিয়ান টাইগার। জানা গিয়েছে, তাদের একজনের নাম লারা এবং অপরজনের নাম আকামাস। দুই জনেই এক ঊর্ধ্ব। এই দুই বাঘে বদলে ভারতের তরফে পাঠানো হয়েছে দুটি লাল পান্ডা। জানা গিয়েছে, লারা এবং আকামাসকে কাঠের বাক্সয় করে নিয়ে আসা হয়েছিল। এরপর কলকাতা বিমানবন্দর থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি অ্যাম্বুল্যান্সে তাদের গন্তব্য ছিল শিলিগুড়ি। সেখানে বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হবে বাঘদুটিকে। সেখান থেকে দুটি অ্যাম্বুলান্সে করে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় তাদের পৌঁছে দেওয়া হবে।
কোনওভাবেই বাঘদুটির যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছিল। বিশেষ খাঁচার রাখা হয় তাদের। পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট অ্যাম্বুলান্সে করে তাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিমান এবং সড়কপথে যাতে কোনওভাবেই তাদের সমস্যা না হয় সেই জন্য় দেওয়া হয়েছিল বিশেষ নজর।
উল্লেখ্য, এই দুই বাঘকে আনা প্রসঙ্গে দার্জিলিং চিড়িয়াখানার দায়িত্বে থাকা বাসবরাজ হোলাইচি বলেন, ‘আমাদের তরফে একজোড়া রেড পান্ডা পাঠানো হচ্ছে। পরিবর্তে এক জোড়া সাইবেরিয়ান বাঘ আমরা পাব।’ জানা গিয়েছে, দার্জিলিং পৌঁছনোর পর এক মাস এই বাঘগুলিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হতে চলেছে। আগে দার্জিলিং চিড়িয়াখানাতে সাইবেরিয়ান বাঘ থাকলেও কয়েক বছর আগে তার মৃত্যু হয়।
এরপরেই ভারত এবং সাইপ্রাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয় এবং বিনিয়ম প্রথার মাধ্যমে তারা দুটি রেড পান্ডার বিনিময়ে দুটি বাঘ আনার সিদ্ধান্তে রাজি হয়।
জানা গিয়েছে, দার্জিলিং চিড়িয়াখানাতে একটি পুরুষ এবং মহিলা রেড পান্ডা ছিল। তাদের বয়স যথাক্রমে ছয় এবং দুই। তাদের সাইপ্রাসে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, দার্জিলিং চিড়িয়াখানাতে ৯টি পুরুষ এবং ১৫টি মহিলা রেড পান্ডা আছে। এই চিড়িয়াখানাতেই একমাত্র রেড পান্ডার প্রজননের ব্যবস্থা রয়েছে।