শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাওড়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আকলিমা। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সমস্যা আরও বাড়তে থাকায় তাঁকে সাড়ে আটটা নাগাদ পিজিতে রেফার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, পিজির জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা দেখার পরে কার্ডিয়োলজি বিভাগে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয় তাঁদের। ভর্তি করার কথা জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা লিখে দিলেও বেড মেলেনি।
রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ন্যাশনাল মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। সেখানে গিয়েও একই কথা শুনতে হয়। ভোর চারটে নাগাদ আকলিমাকে ফের পিজিতে আনা হয়। এদিন সকালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে আউটডোরে দেখানোর কথা পরামর্শ দেওয়া হয়। বেলা দেড়টা নাগাদ আউটডোরের চিকিৎসক দেখার পরে বলেন, ভর্তির প্রয়োজন নেই। এরপর আউটডোর থেকে বাইরে বেরোনোর কিছুক্ষণ পরেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই প্রৌঢ়া। নিয়ে যাওয়া হয় আইসিইউ-তে। সেখানেই মারা যান তিনি।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ‘নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র শিশুদের জন্য সংরক্ষিত বেডে জায়গা পেয়েছেন। অথচ, জেলা থেকে আসা রোগীরা বেড না পেয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরছেন।’ মৃতার ভাই আলম শেখের বক্তব্য, ‘যে টাকা দিতে পারবে তাঁর রোগীই ভর্তি হতে পারবে। পুরোটাই দালালচক্রের হাতে। ঠিক সময়ে বেড পেলে এভাবে দিদিকে মারতে হতো না।’