কী জানা যাচ্ছে?
বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশনাল ইউনিভার্সিটি দীর্ঘদিন অচলাবস্থা রয়েছে। রাজ্যের সমস্ত বি এড কলেজ এই বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীন। আগামীকাল বি এড প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা কাল থেকে। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল এডুকেশন টিচার্স ফোরাম’ নামে একটি সংগঠনের তরফে আন্দোলন করা হচ্ছে। গেটের বাইরে আন্দোলন চলছে। কিছুদিন আগেই নিরাপত্তা রক্ষীদের মারধর করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট কার্যত বন্ধ।
কী জানাল আদালত?
আদালতের বিচারপতি এদিন জানান, পুলিশ কী করে অনুমতি দিল? মঞ্চ বাঁধা হয়েছে তার ম্যাপ নেওয়া হয়েছে? গেটের মুখে কী করে এই ধরনার অনুমতি দেওয়া হল?
বিচারপতি সেনগুপ্ত এদিন নির্দেশ দেয়, এটা স্পষ্ট নয়, কী করে এমন জায়গায় এমন একটা ধরনার অনুমতি দেওয়া হল? এই নিয়ে পুলিশকে রিপোর্ট দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হবে।
পরীক্ষা নিয়ে কী নির্দেশ?
আগামীকাল মঙ্গলবার বিএড প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা রয়েছে। সেই পরীক্ষা নিয়ে শুরু হয়েছে অনিশ্চয়তা। আদালতের নির্দেশ, কোনওভাবে পরীক্ষা যাতে বন্ধ না হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে। পরীক্ষার্থীদের কোনওভাবে বাধা দেওয়া যাবে না। সশস্ত্র পুলিশ নিরাপত্তা রাখতে হবে। ওই ধরনা থেকে যাতে কোনও প্ররোচনামূলক মন্তব্য, অশান্তির চেষ্টা যাতে না হয় সেটা পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ৬২৪ টির মধ্যে ২৫৩ টি বিএড কলেজ শর্ত না মানায় এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পায়নি। অনুমোদন না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু করে এডুকেশন টিচার্স ফোরামের সদস্যরা। যার জেরে পঠনপাঠন বন্ধ। বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষ রাজ্য সরকার, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। কিন্তু আন্দোলনের জেরে সেই পরীক্ষা এখন অনিশ্চিত। পুলিশ কোনও অভিযোগ নিচ্ছে না বলে দাবি।
কিছুদিন আগেই চলতি বছর ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজকে নতুন করে ছাত্র ভর্তি না করার ব্যাপারে নির্দেশ দেয় বি আর আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর থেকেই আন্দোলনের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হুমকি এবং বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ভাঙচুরের হুমকি দেওয়া হয় বলেও এর আগে অভিযোগ রলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তরফে।