Contructual Jobs in West Bengal : ‘এই বেতনে এর বেশি কী আশা করা যায়’, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ নিয়ে রাজ্যকে বিঁধল হাইকোর্ট – calcutta high court slams govt of west bengal for recruiting contractual stafff in government


তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরের ক্রমেই বেড়েছে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সংখ্যা। আর সোমবার এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের সর্বত্র চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ নিয়ে এদিন কার্যত বিরক্তি প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

কী বলল আদালত?

বিশেষ সক্ষমভাবে সক্ষমদের সুবিধার্থে ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার UDID Card (Unique Disablity Identity Card)-এর ব্যবস্থা করে। রাজ্যের বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য আলাদা করে একটি পোর্টাল খোলে রাজ্য সরকারও। বাংলার মানুষ UDID কার্ড করতে গেলে রাজ্যের পোর্টাল খুলে যায় বলে অভিযোগ। যখনই সেখানে নাম নথিবদ্ধ করতে চাইছেন প্রার্থীরা, তাঁদের নাম নথিভুক্ত বলে দেখানো হচ্ছে। ফলে কেউ কার্ড পাচ্ছেন না। এর বিরুদ্ধে ‘পরিবার বেঙ্গল’ নামে একটি সংগঠন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে। সেই মামলাতে চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মীদের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বিচারপতির মন্তব্য, ‘কেউ কাজ করতে চায় না।’

সরকারের ভূমিকা নিয়েও কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ‘কেউ কাজ করতে চায়না। এ ওঁকে দেখাচ্ছে, ও তাঁকে দেখাচ্ছে। একজন চিকিৎসক সব কাজ করবেন এটা আশা করা যায় না। হাসপাতালে ৮০ শতাংশই চুক্তিভিত্তিক কর্মী। ১২-১৩ হাজার টাকা করে বেতন পায়। তাঁদের থেকে এর থেকে বেশি আর কি আশা করা যায়? এই বেতনে কেউ কাজ করবে না।’

রাজ্যের ভূমিকায় বিরক্তি আদালতের

এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করে হাইকোর্ট। রাজ্যের পৃথক পোর্টাল নিয়ে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘এ রাজ্যে কেন আলাদা পোর্টাল? আলাদা হলেও কেন্দ্রীয় পোর্টাল থেকে কেন তথ্য নেওয়া হচ্ছে না? এরপর যদি রাজ্য আদালতে ই-পোর্টালে শীর্ষে থাকার কথা বলে, তবে বুঝিয়ে দেব।’

রাজ্যের আইজীবীর থেকে প্রধান বিচারপতি জানতে চান যে রাজ্য কতজন চুক্তিভিত্তিক কর্মী রয়েছেন? জবাবে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, তিন তা জানেন না। জবাবে কলকাতা হাইকোর্ট বলে, ‘আপনার জানা উচিৎ। মানুষ দূর থেকে আসেন। কত কত টাকা খরচ করে তাঁরা কলকাতায় থাকেন। সব জায়গায় চুক্তি ভিত্তিক কর্মী বেশি। এসএসকেএমে কতজন চুক্তিভিত্তিক কর্মী? ই পোর্টাল না খুললে খুবই খারাপ লাগে। জয়েন্ট ডিরেক্টর আবার বলছেন ৪৭০ কার্ড পোর্টালে হয়েছে। এই সমস্যা সাধারণ। এটা ঠিক করে নেওয়া সম্ভব। কিন্তু এভাবে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *