Poush Mela Shantiniketan : মামলা নিষ্পত্তির শর্তে পৌষমেলার মাঠ দিতে রাজি বিশ্বভারতী – visva bharati authorities gave conditions to the state to provide the poush mela grounds


এই সময়, শান্তিনিকেতন: পৌষমেলার মাঠ দেওয়ার জন্য রাজ্যকে শর্ত দিল বিশ্বভারতী। মামলা নিষ্পত্তির শর্ত দিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ বছর পৌষমেলা করতে অপারগ জানিয়ে আগেই প্রেস বিবৃতি দিয়েছে বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। এরপরেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকল্প পৌষমেলা করার জন্য নির্দেশ দেন। সেই মতো শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠকও হয়। সেখানেই আলোচনা হয় যে, শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পূর্বপল্লির পৌষমেলার মাঠেই বিকল্প পৌষমেলা হবে।

সে জন্যে শুক্রবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বোলপুরের মহকুমাশাসক অয়ন নাথ বিশ্বভারতীয় কাছে পৌষমেলার মাঠ চেয়ে আবেদন করেন। রবিবার রাজ্য প্রশাসনের চিঠির উত্তর দেন বিশ্বভারতীর কর্মসচিব অশোক মাহাতো। চিঠিতে মোট ১৩টি পয়েন্ট উল্লেখ করে শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তার অন্যতম হলো বিশ্বভারতী আধিকারিকদের উপর করা ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। এছাড়া চিঠিতে রয়েছে, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট মেলার মাঠ ভাড়া বাবদ কুড়ি হাজার টাকা দিত-সেই অর্থ মহকুমাপ্রশাসনকে দিতে হবে, সমস্ত দায়ভার ও খরচ এবং সর্বোপরি গ্রিন ট্রাইব‍্যুনালের শর্ত বা কোনও আইনি জটিলতার মধ্যে বিশ্বভারতী পড়বে না এবং মেলা শেষে মাঠ পরিষ্কার সমেত সব দায় রাজ‍্যকে নিতে হবে। এছাড়া মেলার সময় বিশ্বভারতীর কর্মী-অধ‍্যাপকদের পুলিশি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।

২০১৯ সালে তদানীন্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, কর্মসচিব এবং পাঁচ জনেরও বেশি আধিকারিকের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় ফৌজদারি মামলা হয়। যার মধ‍্যে রয়েছে শ্লীলতাহানি ও চুরির মতো অভিযোগও। সেই মামলার কয়েকটির উপরে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আছে। এখন বিশ্বভারতী চাইছে তার সুষ্ঠু নিষ্পত্তি। বোলপুরের মহকুমাশাসক অয়ন নাথ বলেন, ‘বিশ্বভারতীর চিঠির পয়েন্ট ধরে ধরে উত্তর দেওয়া হয়েছে। পৌষমেলার মাঠের ভাড়া সমেত বাকি বিষয়গুলির যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মামলা নিষ্পত্তির বিষয়টি যেহেতু আদালতের বিচারাধীন, তাই এ নিয়ে প্রশাসনের কিছু করার থাকে না।’

বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিশ্বভারতীর মাঠে বীরভূম জেলা প্রশাসনের মেলা করতে চাওয়ার প্রস্তাবে বিশ্বভারতী সম্মত হয়েছে। ওই মাঠে সুষ্ঠুভাবে মেলা করতে গেলে যে ক’টি বিষয়ের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন, বিশ্বভারতী সেই বিষয়গুলির প্রতি জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশ্বভারতীর সম্মতির কথা বোলপুর মহকুমাশাসককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, ‘চিঠিপত্রের বিষয়টি প্রশাসনিক আধিকারিকরা দেখছেন। যদি বিশ্বভারতীর মাঠ না পাওয়া যায়, বোলপুর ডাকবাংলো মাঠেই মেলা হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *