SLST Protest : ‘আমি খুব খুশি…’, বৈঠক শেষে দ্রুত নিয়োগের ব্যাপারে আশাবাদী রাসমণি – state level selection test job seeker rashmoni patra says she is happy after meeting with education minister bratya basu


মাথার চুল কেটে নিজের সৌন্দর্যকে বিসর্জন দিয়েছে। প্রাণপাত করে লড়ে যাচ্ছেন নিজের হকের চাকরির দাবিতে। গোটা গ্রাম তাঁর এই আন্দোলনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সেই কোলাঘাটের রাসমণি পাত্র। সোমবার দীর্ঘ দুই ঘণ্টার বিঠকের পর রাসমণি কী বলছেন। বৈঠক সেরে বেরিয়ে রাসমণি বলেন, ‘ আমি খুব খুশি।’

কী বললেন রাসমণি?

নিয়োগ নিয়ে জট তৈরি হয়েছে, তা খুলতে চলেছে বলে দাবি করেছেন SLST প্রার্থীরা। বিস্তৃত অন্ধকূপে শেষে এক বিন্দু আলো দেখা গিয়েছে বলেই মনে করছেন আন্দোলনকারীরা। সেরকমই আশা রয়েছে রাসমণিরও। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই কোথায় জট জানতে পেরেছি। সেটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমাদের দ্রুত নিয়োগ দিয়ে বাড়ি ফেরানো হবে।’

নিয়োগ নিয়ে জট

তবে এতদিন জটিলতা থাকলেও এই দুই ঘণ্টার বৈঠকে সমস্ত সমাধান সূত্র বেরিয়ে এল। আন্দোলনকারীদের দাবি, বর্ধিত আসন নিয়ে একটি আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। সেটা বেশিদিন হয়নি। সেই বিষয়টি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। তবে এই জটিলতা নতুন করে তৈরি হওয়ায় মুষড়ে পড়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকেই নতুন করে সমাধান সূত্র বের করতে এদিনের বৈঠক খুবই প্রয়োজন ছিল।

বৈঠক করে খুশি রাসমণি

আগামী ২২ ডিসেম্বর পুনরায় বৈঠক। বৈঠক নিয়ে রাসমণির কথায়, ‘২২ তারিখ জানতে পারব আজকের এই বৈঠক কতোটা সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে। নিয়োগ কত তাড়াতাড়ি হবে সেইদিন জানতে পারব। তবে আশা করছি, মাননীয় উদ্যোগে দ্রুত স্কুলে ফিরব। সমস্ত যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাব। প্রত্যেকের জীবনটা বাঁচবেন।’ বৈঠক শেষে তিনি কি খুশি? প্রতিবাদী রাসমণি বলেন, ‘আমরা আজকে খুবই খুশি হয়েছি। আরও খুশি হব যেদিন নিয়োগটা হবে।’

SLST Protest : ‘জট কাটতে চলেছে’, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর মন্তব্য আন্দোলনকারীদের
উল্লেখ্য, গত শনিবার এক হাজারতম দিনে পড়ে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন। সেদিনই ধর্মতলা চত্বরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন আন্দোলনকারীদের। তাঁদের মধ্যে থেকেই রাসমণি পাত্র নিজের কেশ বিসর্জন দেন। তাঁর এই পদক্ষেপ নাড়িয়ে দেয় গোটা রাজ্যকে। একের পর এক রাজনৈতিক নেতা হাজির হন ধরনা মঞ্চে। সেদিনের মঞ্চে হাজির হন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও। সেখান থেকেই তিনি আজকের এই বৈঠকের ব্যাপারে আশ্বস্ত করে আসেন তাঁদের। সোমবারের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ছাড়াও শিক্ষা কর্তা, আইন বিশেষজ্ঞ এবং কুণাল ঘোষ নিজে উপস্থিত ছিলেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *