বীরভূমে অবাধে গোরু পাচার
অনুব্রত মণ্ডলের অবর্তমানেও বীরভূম জেলায় রমরমিয়ে চলছে গোরুপাচার। আর সেই গোরুপাচার রুখতে মরিয়া বীরভূম জেলা পুলিশ। দিকে দিকে গোরু পাচার রুখতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। আটক করা হচ্ছে পাচারকারীদের। সোমবার মধ্যরাতেও সেই একই ছবি সামনে এল।
জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রামপুরহাট থানার পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযান চালায় রামপুরহাটের পাইকপাড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩২টি গোরু। অন্যদিকে কুসুমডাই গ্রাম থেকে উদ্ধার করে ৭৬টি গোরু। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে ঝাড়খণ্ড থেকে রামপুরহাটের দিকে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গোরুগুলিকে। যদিও এই ঘটনায় এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
অন্যদিক, বীরভূমের আরও একটি থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে গোরু। পাচার করার সময় ২০১টি গোরু বাজেয়াপ্ত করল নলহাটি থানার পুলিশ। তবে এক্ষেত্রেও কোনও গোরু পাচারকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সোমবার রাতে বীরভূমের নলহাটি থানার শালবুনি গ্রামের রাস্তা থেকে গরু গুলিকে আটক করে নলহাটি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গোরুগুলিকে ঝাড়খণ্ড থেকে পাচার করে নিয়ে আসা হচ্ছিল। সেই সময় পুলিশ গোরুগুলিকে আটক করে। কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
গোরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত
গোরু পাচারকাণ্ডে নাম জড়ায় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। তাঁকে জিজ্ঞাসবাদের জন্য একাধিকবার তলব করা হলেও তিনি সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দেননি। শেষমেশ তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখান থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পর বেশ কিছুদিন আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন কেষ্ট। পরে সেখান থেকে তাঁকে দিল্লির তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই মামলাতে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।