সূত্রের খবর, বাইপাস সংলগ্ন একটি পার্ক দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি তা নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আর তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ষষ্ঠী নারায়ণ ইকো পার্ক’। এই পার্কের প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছিল ১০ টাকা। কিন্তু, পরবর্তী মন্ত্রী অরূপ রায় এলাকার শিশুদের কথা চিন্তা করে তা কমানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই এই মূল্য পাঁচ টাকা করা হয়েছে।
বছরে এই পার্কের জন্য প্রবেশ মূল্য কত?
জানা গিয়েছে, এই পার্কের জন্য বছরে প্রবেশ মূল্য ২০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। রাজ্যে তাপমাত্রার পারদ এখন নিম্নমুখী। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানান হয়েছে, এই তাপমাত্রা আরও কমবে আগামী কয়েকদিনে। একদিকে তাপমাত্রার পতনের সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে বছর শেষের আগে ছুটির হাতছানি। এরইমধ্যে হুজুগে বাঙালি মোবাইল ঘেঁটে চড়ুইভাতি করার নতুন স্থান খুঁজতে শুরু করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আর বছরের শেষে হাওড়াবাসীর জন্য শীতের নতুন উপহার স্বরূপ খুলে দেওয়া হয়েছে ‘ষষ্ঠী-নারায়ণ ইকো পার্ক’। হাওড়ার ইছাপুরে ডেনেজ ক্যানেল রোড এলাকাতে চালু করা হল এই ইকো পার্ক।
যেখানে শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে একদিনের ছুটি অনায়াসেই ফেরা যাবে কলকাতায়। অতীতে এই স্থানটি রাজ্য সরকারের দফতরের অধীনস্থ ছিল। তবে তা বর্তমানে হাওড়া পৌর নিগমের তত্ত্বাবধানে থাকবে। ভবিষ্যতে বোটিংয়ের সুবিধাও রাখা হবে বলেই কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যাচ্ছে। এই পার্কের প্রবেশ মূল্য বাৎসরিক ২০০ টাকা বা দৈনিক ৫ টাকা ধার্য করা হয়েছে।
গোটা পার্কের বিভিন্ন স্থানে নারায়ণ দেবনাথের সৃষ্টির বিভিন্ন চরিত্র হাতে আঁকা ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পার্কের ভিতরে শিশুদের খেলার জন্য একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত বছরের শেষে উদ্বোধন হওয়া হাওড়া তারামণ্ডলের পর এই ইকো পার্ক হাওড়াবাসীর কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠতে চলেছে এমনটাই আশা কর্তৃপক্ষের।
সোমবার এই পার্কের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী অরূপ রায়, রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি, হাওড়া পুর নিগমের মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী সহ অন্যান্য অতিথিরা।