‘যত ইচ্ছে মিষ্টি খেতে পারত, টাকা চুরি করতে যাবে কেন!’ মিষ্টির দোকানে চুরি প্রাক্তন কর্মীর – bardhaman police arrested an youth alleging stealing money from sweet shop


এই সময়, বর্ধমান: জানলা ভেঙে মিষ্টির দোকানে ঢুকেছে চোর। শনিবার ঘড়িতে তখন রাত দেড়টা। টাকাপয়সা হাতানোর আগে তার নজর পড়ে মিষ্টির উপর। লোভ সামলাতে পারেনি ওই যুবক। টপাটপ সন্দেশ, রসগোল্লা মুখে চালান করতে থাকে। মিষ্টিমুখ সেরে দোকানের দু’টি ক্যাশবাক্সে থাকা ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালায় সে। বর্ধমান শহরের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের ওই মিষ্টির দোকানের সিসি ক্যামেরায় এই ঘটনার সবটাই ধরা পড়েছে। যা দেখে অবাক দোকান মালিক সুব্রত রক্ষিত। কারণ তাঁর দোকানে হানা দেওয়া ওই যুবক আগে সেখানেই কাজ করত। নাম শোভন দত্ত। ঘটনার অভিযোগ দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্ধমান থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারও করেছে। উদ্ধার করা গিয়েছে ২৬ হাজার টাকা। তবে ঘটনায় ক্ষুব্ধ দোকান মালিকের বক্তব্য, ‘দোকানে ঢুকে মিষ্টি খাচ্ছিল। যত ইচ্ছে খেতে পারত। কে বারণ করেছে। কিন্তু টাকা চুরি করতে যাবে কেন!’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে ওই মিষ্টির দোকানে কাজ করার সুবাদে সেখানে কোথায় কী রয়েছে, ক্যাশবাক্সের চাবি কোথায় থাকে সবই জানা ছিল গোদা মাঠ কলোনি এলাকার বাসিন্দা ধৃত শোভনের। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোকান মালিক তাকে শনাক্ত করার পরেই বেশ কিছু সূত্র ধরে তার খোঁজ করতে শুরু করে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় এসআই সঞ্জয় মণ্ডল খবর পান, কাঞ্চননগরের লিচুবাগান এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে শোভন। গোপনে নিজের টিম নিয়ে সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এসআই। চুরির কথা স্বীকার করে সে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২৬ হাজার টাকাও। পরে তাকে থানায় এনে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএসপি রাকেশ চৌধুরী বলেন, ‘এর আগেও বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনায় শোভন দত্তর নাম জড়িয়েছে। সেগুলির বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একইসঙ্গে মিষ্টির দোকান থেকে চুরি করা বাকি টাকাও তার থেকে উদ্ধার করা হবে।’ ধৃতকে মঙ্গলবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানতে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয় আদালতে। বিচারক ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিকে, টাকা উদ্ধার হলেও খেয়ে ফেলা মিষ্টি কীভাবে উদ্ধার হবে তা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে দোকান মালিক সুব্রত রক্ষিত বলেন, ‘আমাদের দোকানে আগে কাজ করত ছেলেটি। কয়েক মাস আগে কাজ ছেড়ে দেয়। দোকানে যারা কাজ করে তারা তো এমনিই মিষ্টি খায়। ও চাইলে আরও মিষ্টি খাওয়াতাম। আমার মিষ্টির দরকার নেই। টাকা ফেরত পেলেই হলো।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *