বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ আব্দুরের
তৃণমূলেরঅঞ্চল নেতৃত্বদের নিয়ে রাজনৈতিক সম্মেলন আয়োজিত হয়। সেখানেই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী নিজের স্বার্থে পার্টিটাকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। মালদা জেলার মানুষ প্রথমে বুঝতে পারেনি। তিনি ভেবেছিলেন চোরের রাজত্ব তৈরি করে দিয়ে মালদা জেলার তৃণমূলের সবাইকে নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করবে। এক জন অপদার্থ চোর নেতাকে মানুষ ভালোবাসে না। তাই তাঁকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে মালদার মানুষ।’
তৃণমূল বিধায়ক আরও বলেন, ‘বাংলার বাঘিনীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী দিনে ভারতবর্ষ মমতার নেতৃত্বে লড়াই করবে। আজকে আমাদের নেত্রী উত্তরবঙ্গে গিয়ে উন্নয়নের কথা বলছেন। আর অন্যদিকে অপদার্থ, বেইমান ও নেমকহারাম বিরোধী দলনেতা কালকে শিলিগুড়িতে গিয়ে আমাদের নেত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। বন্ধু তুমি জেনে রেখো যদি তোমাকে মালদার মাটিতে পাই, কে চোর তৃণমূল কংগ্রেস তোমাকে বুঝিয়ে দেবে। শঠাং শঠাং করে কী ভাবে আওয়াজ হয় তোমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’
তৃণমূল নেতাকে পালটা নিশানা বিজেপির
এই মন্তব্যের জন্য তৃণমূল নেতাকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। দক্ষিণ মালদা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ‘আব্দুর রহিম বক্সR প্রতিনিয়ত কিছু কু-কথা বলছেন। এবং তিনি এইসব কথা বলে নিজের পদ বাঁচাতে চাইছেন। আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছিলেন। তৃণমূল জেলা সভাপতি তিনি যে চোর সেটা মালদার মানুষ বহুদিন ধরেই জানে। আরএসপির কোটা থেকে আইসিডিএস এর চাকরি চুরি করা তার একটা স্বভাব ছিল আর সেই চোর আজকের তৃণমূল কংগ্রেসে এসে চোরের সঙ্গে গলা মিলিয়েছে। সেই তিনিই আজকে বড় বড় কথা বলছেন।’