বুধের অভিশপ্ত দুপুর। বর্ধমান স্টেশনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা? ওই ট্যাঙ্কের আদৌ কি রক্ষণাবেক্ষণ হত? তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছিল। এবার গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলল রেল।
কী জানাল রেল?
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি বলেন, ‘১৮৯০ সালে তৈরি হয়েছিল এই ট্যাঙ্কটি। নিয়মিত এটির দেখাশোনা করা হয়। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ এই জলের ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়ার খবর সামনে আসে। তৎক্ষনাৎ শুরু হয়ে যায় উদ্ধারকাজ। আহতদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
২০ থেকে ২২ জন আহত বলে জানান তিনি। তবে রেলের তরফে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। কৌশিক মিত্র জানান, এই জলের ট্যাঙ্কটির প্রতিনিয়ত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। সেক্ষেত্রে কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কমিটি গঠন
কী ভাবে বর্ধমান স্টেশনে ভেঙে পড়ল এই জলের ট্যাঙ্ক? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই তিন সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির রিপোর্ট সামনে আসার পরেই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ বলা সম্ভব, জানান কৌশিক মিত্র।
কী বলছেন বর্ধমানের পুলিশ সুপার?
বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমন দীপ অবশ্য তিন জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ এই দুর্ঘটনার তথ্য পাই। জানতে পারি প্ল্যাটফর্ম নম্বর ২ এবং ৩-এর মধ্যে একটি জলের ট্যাঙ্ক ফেটে যায়। ফলে জল শেডে পড়ে এবং তা ভেঙে যায়। কিছু যাত্রী আহত হন। আমাদের থানার তরফে আধিকারিকরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছি তিন জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৭ জন আহত।’

৪ নং প্ল্যাটফর্মেও ভিড়
ট্রেন চলাচলের কী পরিস্থিতি?
ইতিমধ্যেই বর্ধমান স্টেশনে ১ এবং ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম বন্ধ। ফলে , চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে থিকথিকে ভিড়। বন্দে ভারত যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না বলে জানা যাচ্ছে।