কী ঘোষণা হয়েছে?
বর্ধমান হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন, সোনারাম টুডু, কান্তি বাহাদুর এবং মফিজা খাতুন। প্রত্যেকেই বর্ধমান জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও মোট ২৭ জন কমবেশি আহত হয়েছেন মাথায় শেড ভেঙে পড়ার কারণে। রেল থেকে জানানো হয়েছে, অল্প আহতদের হাসপাতালের খরচ রেল থেকে দেওয়া হয়েছে। রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা এবং মৃতদের পরিবারকে দেওয়া হবে ৫ লাখ টাকা।
কী ঘটনা ঘটেছে?
বুধবার বেলা ১২ টা নাগাদ বর্ধমান স্টেশনের দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের উপরে থাকা একটি জলের ট্যাঙ্ক ফেটে যায়। উপর থেকে জলের স্রোত এবং ট্যাঙ্কের একাংশ ভেঙে পড়ে নিচে প্ল্যাটফর্মের একটি শেডের উপর। সেই শেডের নিচেই একাধিক যাত্রী অপেক্ষারত ছিলেন। শেডের একাংশ মাথার উপর ভেঙে পড়ায় আক্রান্ত হন বহু মানুষ। গোটা স্টেশন চত্বর জুড়ে হইচই পড়ে যায়।
কেন প্রশ্ন উঠছে?
রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু বছর আগে এই ট্যাঙ্কটি নির্মাণ করা হয়েছিল। নিয়মিত ট্যাঙ্কটি দেখাশোনা করা হতো। কিছুদিন আগেও ট্যাঙ্ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তদারকি করা হয়েছে। এরপরেও আজ কেন ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়ল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ট্যাঙ্কটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নতুন করে কোনও কাজ হয়নি কেন? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। রেলের মুখ্য জনসংযোগ আশিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, এই বর্ধমান স্টেশনে নির্মিত ওই জলাধার প্রতিনিয়ত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। সেক্ষেত্রে কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গোটা ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চাও। বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূলের বিধায়ক খোকন দাস জানিয়েছেন, এভাবে দিনের পর দিন মানুষের প্রাণ নিয়ে খেলা করছে রেল। জোড়া তাপ্পি সব জায়গায় কাজ করা হয়েছে, উপরে রং লাগিয়ে দেখানো হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।