কী জানা যাচ্ছে?
বুধবার সকালে নিমতা থেকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে যে সম্প্রসারণের কাজ চলছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়। এদিন তিনি দফতরের সচিবদের সঙ্গে নিয়ে গোটা রাস্তাটি ঘুরে দেখেন। কাজের জন্য কোথাও জট রয়েছে কিনা তাও তিনি খতিয়ে দেখেন। নিমতা এম বি রোডে ২০১ বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে গোটা রাস্তা তিনি এদিন ঘুরে দেখেন। কোথাও কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা সেইসব জানার চেষ্টা করেন মন্ত্রী।
কী জানালেন মন্ত্রী?
পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় জানান, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সম্প্রসারনের ৭০শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি কাজ আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নির্মীয়মান আন্ডারপাসের ধারে বেশ কয়েক জায়গায় রাস্তা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। তা দ্রুত ঠিক করতে বলা হয়েছে। এছাড়া পুলিসের সঙ্গে আলোচনা করে রাস্তায় পর্যাপ্ত সাইনেজ সহ পথ নিরাপত্তার অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাপা মোড় থেকে ছোট জাগুলি পর্যন্ত ১০ কিমি রাস্তার কাজ ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসের মধ্যে এবং কল্যাণী থেকে মগরা যাওয়ার সেতুর কাজ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জুড়ে যাবে বেলঘড়িয়া থেকে কল্যাণী
কল্যাণীর কাঁপা থেকে নিমতায় বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ছ’লেনের করার কাজ চলছে জোর কদমে। এই ছয় লেনের রাস্তা এবং ১৮টি ফ্লাইওভার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মোট ব্যয়বরাদ্দ ১,৭২০ কোটি টাকা। ওয়েস্ট বেঙ্গল হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, তিনটি ফেজ বা পর্যায়ে এই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজের পরিকল্পনা গ্রহণ নেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বিরাটি পর্যন্ত ১.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি উড়ালপুল তৈরি করা হবে।
সেখানকার বসতবাড়িগুলির পুনর্বাসন দিয়ে সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সোদপুরের মুড়াগাছা মোড় পর্যন্ত রাস্তা ছ’লেন করার কাজ রয়েছে। সোদপুরের মুড়াগাছা মোড়ে তৈরি হচ্ছে আরেকটি উড়ালপুল। এই বিস্তৃত অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫.৮ কিমি। এ পর্যন্ত কাজের জন্য ৪৯৪.৯৯ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে মুড়াগাছা মোড় থেকে কল্যাণীর কাঁপা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার কাজ হচ্ছে। পরের পর্যায়ে রয়েছে গঙ্গার উপরে একটু সেতু নির্মাণ। যার জন্য খরচ পড়বে ১,৬৬০ কোটি টাক।