দেবাঞ্জনের আবেদনে সাড়া দিল না আদালত
এদিন ভ্যাকসিনকাণ্ডে অভিযুক্ত ভুয়ো আইএএস অফিসারের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী ও সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, ‘অভিযুক্ত কী করে তদন্তে হস্তান্তর চাইতে পারেন? এবং এতদিন পর কেন এই কথা বলা হচ্ছে? মূল অভিযুক্তের অভিযোগকে কেন গুরুত্ব দেবে আদালত?’
বিচারপতির প্রশ্নে পালটা যুক্তি দেন বিকাশ। তিনি বলেন, ‘আমরা নথি দিয়ে দেখাব কী ভাবে কলকাতা পুলিশ তদন্ত নষ্ট করছে। প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে থাকা নথি লোপাট করছে। একজনকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের প্রভাব শালীদের যোগ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের কথা বলেছে। তদন্তে হস্তান্তর হবে না, এটা বলা যাবে না। তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হোক। তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।’ বুধবার আদালতে ইডির থেকে পাওয়া নথি ও আদালতের রায়ের কপি দেখানো হয়। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘এই মামলার কোনও ভিত্তি নেই। আবেদনকারীর নিরাপত্তার কোনও প্রয়োজন নেই।’
উভয়পক্ষের সওয়াল জবাবের পর বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, ‘এখনও তদন্ত হচ্ছে। এই নথি থেকে এখনও অন্য কারও যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। আরও খতিয়ে দেখতে হবে।’ বিচারপতি সেনগুপ্তর নির্দেশ, ‘আদালত তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার কোনও নির্দেশ দিচ্ছে না। তবে তিনি প্রয়োজন হলে পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে পারবেন। রাজ্য ও কেন্দ্র দ্রুত তাঁর আবেদন বিবেচনা করবে।’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারু বেলা তিনটের সময়।
ভ্যাকসিনকাণ্ডে দেবাঞ্জন যোগ
কোভিডের সময় শিবির চালিয়ে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে। কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনার শিবির চালানো শুরু করেছিলেন এই ভুয়ো আইএএস। এই ঘটনায় দেবাঞ্জনকে গ্রেফতার করে কসবা থানার পুলিশ। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তভার হাতে নেয়। বিভিন্ন থানায় দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েন। ১১টি মামলা রুজু করা হয়েছিল। ৮ টি মামলায় জামিন মঞ্জুর হয় তাঁর।