অভিযোগ, রাজ্যের অনেক পুরসভাই সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ইচ্ছামতো চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ করছে। তাঁদের বেতনের টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে পুরসভাগুলি। খরচ বাড়িয়ে ফেলায় রাজ্য সরকারের কাছে টাকার জন্য দরবার করছে। এতে সমস্যায় পড়ছে রাজ্য সরকার। এ ছাড়াও পুরসভাগুলিতে কর্মী নিয়োগে উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ। এই সব আটকাতেই পুরসভাগুলির আর্থিক শৃঙ্খলা ফেরাতে চাইছে সরকার। এর জন্যই এই পদক্ষেপ।
সম্প্রতি পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর থেকে পুরসভাগুলির কাছে এই মর্মে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, এখন থেকে পুরসভাগুলি মর্জিমাফিক আর্থিক বাজেট তৈরি করতে পারবে না। বাজেট তৈরি করতে হবে সরকারি নিয়ম মেনে।
পাশাপাশি পুরসভাগুলি চাইলেই বিপুল টাকার জিনিসপত্র কিনতে পারবে না। সবটাই করতে হবে আর্থিক সঙ্গতি অনুযায়ী। কেনাকাটার কোনও প্রস্তাব এলে তা খতিয়ে দেখবেন সিইওরা। টেন্ডার ডেকেই কেনাকাটা করতে হবে। পাশাপাশি বড় কোনও প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার থেকে অনেক সময়ে নির্দেশিকা দেওয়া হয়। সেটা মানলে তবেই প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন মিলবে।
কর আদায়ের ব্যাপারে বোর্ড অফ কাউন্সিলার কিংবা পুরসভার চেয়ারম্যান কোনও সিদ্ধান্ত নিলে, তা ফিনান্স অফিসারকে জানাতে হবে। আর্থিক শৃঙ্খলার জন্য প্রতিটি পুরসভায় মিউনিসিপ্যাল অ্যাকাউন্টস কমিটি থাকে। সেটা যাতে ঠিকমতো কাজ করে তার উপরও লক্ষ্য রাখা হবে। এ ছাড়াও পুরসভার ক্যাশবুক নিয়মিত ভাবে পরীক্ষা করেও দেখা হবে। পুরসভার বিল পাশ করার দায়িত্বও তুলে দেওয়া হচ্ছে সিইওদের হাতে।
পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের এক শীর্ষকর্তার ব্যাখ্যা, ‘পুরসভার সিইওদের নিয়োগকর্তা রাজ্য সরকার। তাঁরা সরকারের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন। পুরসভায় আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তাঁদের উপরই ভরসা করছে সরকার।’