এই সময়, নয়াদিল্লি: সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের রহস্যমৃত্যুর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হলো না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করে দিয়েছে, তার সদস্যদের পরিবর্তনে আগ্রহী নয় শীর্ষ আদালত। প্রয়োজনে ভিন রাজ্য থেকে দু’জন আইপিএস অফিসারকে এই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে বেঞ্চ। রাজ্যের কৌঁসুলি আর বসন্ত এই প্রসঙ্গে সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য দু’দিন সময় চান। কাল, বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
বগটুই গণহত্যার ঘটনার ন’মাস পরে ধৃত মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু হয়েছিল সিবিআই হেফাজতে৷ এই মৃত্যুর তদন্তে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত হয়েছিল সিট৷ এর বিরোধিতা করে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল৷ মঙ্গলবার সিবিআইয়ের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু যুক্তি দেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং এ রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক আছে, এমন কোনও তদন্তকারী আধিকারিককে এই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত রাখা উচিত নয়।
বগটুই গণহত্যার ঘটনার ন’মাস পরে ধৃত মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু হয়েছিল সিবিআই হেফাজতে৷ এই মৃত্যুর তদন্তে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত হয়েছিল সিট৷ এর বিরোধিতা করে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল৷ মঙ্গলবার সিবিআইয়ের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু যুক্তি দেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং এ রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক আছে, এমন কোনও তদন্তকারী আধিকারিককে এই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত রাখা উচিত নয়।
কারণ, গোটা ঘটনার সঙ্গে রাজ্য প্রশাসন গভীর ভাবে যুক্ত৷ আমরা গোরু পাচার মামলার তদন্তে দেখেছি, সেখানে রাজ্যের একাধিক অফিসার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত৷ রাজ্য পুলিশ, সিআইডি তদন্তে ঢিলেমি করছে৷’ তাঁর এই যুক্তি খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ বিচারপতি খান্না বলেন, ‘মিঃ রাজু, এভাবে আপনি এক একটি শুনানিতে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারেন না৷ আগের শুনানিতে আপনি তদন্তকারী দলের সদস্যদের নিয়ে কোনও আপত্তি করেননি, এখন আপত্তি তুলছেন৷ আমরা তদন্তকারী দলের প্রধান প্রণব কুমারকে পরিবর্তন করব না৷ তাঁর সঙ্গীদেরও রাখা হবে৷ প্রয়োজন হলে অন্য রাজ্য থেকে দু’জন আইপিএস অফিসারকে এই ঘটনার তদন্তে নিয়োগ করা যেতে পারে৷ তেমন হলে আমরাই তাদের নাম সুপারিশ করে দেবো৷’