কী জানা যাচ্ছে?
বুধবার সকাল ১২.০৮ নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান রেল স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উপর। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতরা হলেন সোনারাম টুডু, কান্তি বাহাদুর এবং মফিজা খাতুন। তিনজনেই বর্ধমানের জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ট্রেন ধরার কারণে এদিন তাঁরা স্টেশনে উপস্থিত হয়েছিল। আকস্মিক দুর্ঘটনা কেড়ে নিল প্রাণ।
কী ব্যবস্থা হয়েছে?
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, দুপুর ১২.২৫ নাগাদ দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করতে মেডিক্যাল ভ্যান পাঠানো হয়। আহতদের তৎক্ষণাৎ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মোট ২৭ জন যাত্রী আহত হন বলে জানা গিয়েছে। দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে রেল যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে। ১ ও ৪ নং প্ল্যাটফর্ম দিয়ে রেল চলাচল করছে।
তবে দুই এবং তিন নম্বর লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে থিকথিকে ভিড়। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে। ঘটনাস্থলে যান হাওড়া ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার, রেলের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিক, জেলার পুলিশ সুপার আমন দীপ সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। প্ল্যাটফর্মের উপর রেলের শেডের ভেঙে পড়া অংশ সরানোর ব্যাপারে কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
রেল যাত্রীদের সাহায্যের জন্য হাওড়া স্টেশনে একটি হেল্পলাইন বুথ চালু করে দেওয়া হয়েছে। স্বল্প আহতদের চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে হাসপাতাল থেকে। গুরুতর আহতদের চিকিৎসা চলছে। পুলিশ সুপার আমন দীপ জানিয়েছেন, রেলের তরফে এই ট্যাঙ্ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ খতিয়ে দেখা হয় প্রতি বছরই। এবারেও ডিসেম্বর মাসে কাজ দেখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে রেল। তারপরেও এরকম ঘটনা ঘটল কেন? সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে রেল। তবে এর আগেও বর্ধমান স্টেশনে নির্মাণ কার্যের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। বারবার দুর্ঘটনার কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। রেলের তরফে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই।