উল্লেখ্য, লোকসভা অধিবেশন চলাকালীন বুধবার কালার স্মোক হাতে সংসদের নয়া বিল্ডিংয়ে ভিজিটার্স গ্যালারি থেকে লাফ দেন দুই জন। তৎক্ষনাৎ হলুদ রঙের ধোঁয়ায় গোটা লোকসভা কক্ষ ভরে যায়। শীতকালীন অধিবেশনের অষ্টম দিনে তুমুল হইচই শুরু হয়।
যদিও দিল্লি পুলিশের ডিসিপি জানান, কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। কালার স্মোক নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন চার জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নীলম কউর, আমল শিন্ডে। সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তি পালনের সময় এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ইতিমধ্যেই দুই বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু, কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটাল তারা? সূত্রের খবর, তারা মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। তানাশাহি নহি চলেগি এই স্লোগানও ছিল তাদের কণ্ঠে। এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে।
কী ভাবে সংসদে প্রবেশ করে এই ঘটনার ঘটনা ঘটানো সম্ভব? সুরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কোনও খামতি ছিল না তো? এই প্রশ্নগুলি উঠছে। দিল্লি পুলিশ থেকে শুরু করে সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অন্যান্য এজেন্সিগুলির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। গোটা ঘটনার পুঙ্খানুুপুঙ্খ তদন্ত করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। সংসদে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার মধ্যে রাজ্য বিধানসভার নিরাপত্তা রক্ষায় শূন্য পদগুলি পূরণের ঘোষণা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সুর চড়াচ্ছিলেন রাজ্যের বিরোধীরা। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের কর্মসংস্থান বিরোধীদের কাছে অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যদিকে, রাজ্যের যাবতীয় শূন্যপদে শীঘ্রই নিয়োগ করার জন্য তৎপর রাজ্য সরকার। এই মর্মে নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ পদক্ষেপও।
রাজ্যের শূন্যপদগুলিতে শীঘ্রই নিয়োগ করা হবে, এমনটাই আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো একাধিক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।