ঠিক কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?
এতদিন পর্যন্ত ওয়াই ক্যাটাগরির সুরক্ষা পেতেন অনুপম হাজরা। কিন্তু, গত ৫ ডিসেম্বর তাঁর সেই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই নির্দেশের পরেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়।
কী বলছেন অনুপম?
এই সুরক্ষা সরিয়ে নেওয়া নিয়ে যখন তোলপাড় রাজনৈতিক মহল সেই সময় ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন অনুপম। তিনি লিখেছেন, ‘সিকিউরিটি তুলে নেওয়া হল, নাকি নভেম্বর মাসে কোনও এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিকিউরিটি তুলে নিতে অনুরোধ করেছিলাম তা ভালোভালে জেনে খবরটা করা দরকার। তবে কীসের জন্য অনুরোধ করেছিলাম তা সময় বলবে। অনেক খেলা বাকি।’
তিনি নিজের পোস্টে আরও লেখেন, ‘এক এক ব্যাটসম্যানের খেলার ধরন একেক রকম। সমস্ত ব্যাটসম্যানকে এক ধাঁচে ফেললে মুশকিল। চোর মুক্ত বিজেপি চাই।’ তাঁর এই মন্তব্য অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বিতর্কে জড়িয়েছেন অনুপম?
গত কয়েক মাসে অনুপম হাজরাকে নিয়ে অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্ক চলাকালীন তিনি শান্তিনিকেতনে গিয়ে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। পাশাপাশি একটি ফেসবুক লাইভে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে আক্রমণ করেন তিনি। জেলা বিজেপিতে অরাজকতা চালানোর অভিযোগ তোলেন তিনি। নিশানা ছিল রাজ্য সভাপতির দিকে।পাশাপাশি বীরভূমের জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা তাঁকে খুনের জন্য লোক লাগিয়েছে, এমনটাই বার্তা দিয়েছিলেন অনুপম হাজরা।
পালটা সরব হন সুকান্ত মজুমদারও। সুকান্ত বলেছিলেন, ‘কয়েকদিন আগেই দেখলাম তিনি ২০ জনকে নিয়ে ঘুরছেন। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন নিরাপত্তারক্ষী।’
সুকান্তের এই খোঁচার মধ্যেই অনুপম হাজরার সুরক্ষা সরিয়ে নেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অনুপম প্রসঙ্গে যে বঙ্গ বিজেপি কার্যত অস্বস্তিতে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল একপ্রকার। এমনকী, দিলীপ ঘোষের মতো রাজ্য নেতৃত্বও এই বিতর্কে অনুপমের পাশে দাঁড়ায়নি। স্বাভাবিকভাবেই অনুপম হাজরা ‘ব্যাকফুটে’ ছিলেন বলে মতামত রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। কোনওভাবেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা হলে বরদাস্ত না করার বার্তা আগেই দলীয় তরফে দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে অনুপমের নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহারের ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, দাবি রাজনৈতিক মহলের।