Howrah Brick Kiln : বাড়ি বানাতে ঝক্কি, ইটের জোগানে ঘাটতির আশঙ্কা? বন্ধ হল রাজ্যের ৫৫ ইটভাটা – fifty five brick klins of howrah shyampur area closed due to labour protest


এবার ইট ভাটায় শ্রমিক অসন্তোষ। নতুন হারে মজুরি নিয়ে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্য চরম দ্বন্দ্বের বাতাবরণ। আর তার জেরেই জোরাল শ্রমিক অসন্তোষ। সেই কারণে এবার বন্ধ হয়ে গেলে রাজ্যের একাধিক ইট ভাটা। এই কারণে রাজ্যে নির্মান সামগ্রী জোগানে ঘাটতি দেখা যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি।

বন্ধ ৫৫টি ইট ভাটা

নতুন হারে মজুরি নিয়ে মালিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বন্ধ হয়ে গেল ৫৫টি ইট ভাটা। হাওড়ার শ্যামপুরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, শ্যামপুরের এইসব কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করেন। বছর তিনেক আঘে ইট ভাটা মালিক, ট্রেড ইউনিয়নের ও শ্রমিকদের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে শ্রমিকদের সাত শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শ্রমিকদের অভিযোগ, বৈঠক হওয়ার পর প্রথম ও দ্বিতীয় বছর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ মজুরি সাত শতাংশ বৃদ্ধি করা হলেও তৃতীয় বছর থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মালিক কর্তৃপক্ষ নতুন হারে মজুরি দেওয়া বন্ধ করে দেয় দাবি শ্রমিকদের। এরপর ডিসেম্বর মাস থেকেই শুরু হয় শ্রমিক অসন্তোষ।

ডিসেম্বরের শুরু থেকেই অসন্তোষ

ডিসেম্বরের শুরুতেই শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। শ্রমিকদের অসন্তোষ শুরু হওয়ার পরই মালিকপক্ষ ইট ভাটা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। শ্রমিকদের বক্তব্য, গত এক বছর ধরে তাঁরা বর্ধিত মজুরি ছাড়াই কাজ করছেন। এই বছর নতুন হারে মজুরি দেওয়ার কথা থাকলেও মালিকপক্ষ ব্যবসায় ক্ষতির অজুহাত দিয়ে মজুরি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইট ভাটার এক শ্রমিক বলেন, ‘গত একবছর বর্ধিত মজুরি ছাড়াই কাজ করেছিলাম। এই বছর নতুন হারে মজুরি দেওয়ার কথা থাকলেও মালিক পক্ষ ব্যবসায় ক্ষতির অজুহাত দিয়েছে। সেই কথা বলে আমাদের মজুরি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর সেই কারণে আমার কাজে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এই নিয়ে শ্যামপুর থানা ব্রিক ফিল্ড ওর্নাস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুবীর কুমার দাস বলেন, ‘তিন বছর আগে শ্রমিকদের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল। ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষে শ্রমিকদের ৭ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে এরপর কিছু সমস্যার কারণে আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করি। পুরনো হারে মজুরি নিয়ে কাজ করতে শ্রমিকরা রাজি ছিলেন। এ বছর কাজ শুরু হওয়ার মুখে মজুরি বৃদ্ধির দাবি করেন শ্রমিকরা। তাঁদের প্রস্তাবে আমরা রাজি হয়নি বলে তাঁরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। আসা করি এই সময় দ্রুত মিটে যাবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *