আর পাঁচ জনের মতো একটি ক্যাফেতে বসে মোমো উপভোগ করলেন বিচারপতি। এই মুহূর্তে তিনি জলপাইগুড়িতে রয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি শহরের একটি ক্যাফেতে কিছুক্ষণ কাটালেন। ক্যাফেটিতে খাবারের পাশাপাশি অন্যতম আকর্ষণ বই। কেউ চাইলে সেখানে এসে বই পড়তে পারেন। আর বই এবং কফির কম্বিনেশন নতুন প্রজন্মের কাছে অন্যতম প্রলোভন।
বুধবার এই ক্যাফে অন্যান্য দিনের মতোই জনবহুল ছিল। কিন্তু, হঠাৎ এই ক্যাফেতে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল। ক্যাফেটিতে যান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সেখানে গিয়ে বসে একনজর দেন মেনু কার্ডে। এরপর অর্ডার করেন ফ্রাই মোমো। পরবর্তীতে সেই ক্যাফের লাইব্রেরিতে রাখা বইগুলি দেখেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর অর্ডার করা মোমো এলে তিনি খাবারে মনোনিবেশ করেন।
এদিকে এই বিচারপতিকে চাক্ষুস দেখে সেলফির লোভ সামলাতে পারেননি অনেকেই। তাঁরা এসে সেলফির আবদান জানান। কাউকেই অবশ্য ফিরিয়ে দেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যাঁরা যাঁরা সেলফির জন্য আবদার করেছিলেন তাঁদের অনুরোধ রাখেন তিনি এবং পরবর্তীতে বিল মিটিয়ে ক্যাফে থেকে চলে যান।
স্বাভাবিকভাবেই খুশি ওই ক্যাফের কর্তারা। তাঁরা বলেন, ‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো একজন মানুষ আমাদের ক্যাফেতে এসেছেন তা আমাদের কাছে অনেক বড় পাওনা। কোনও অগ্রিম খবর আমাদের কাছে ছিল না। কাউকে জানাননি তিনি। ফলে তাঁকে প্রথমে দেখে আমরা কিছুটা চমকে যাই। একেবারেই আর পাঁচজন গ্রাহকের মতো করে এসেছিলেন তিনি। এতদিন তাঁকে টিভি পর্দায় দেখেছি। সামনা সামনি দেখে অত্যন্ত ভালো লাগল।’
অন্যদিকে, সেই সময় ক্যাফেতে উপস্থিত অন্যান্যরাও অত্যন্ত খুশি হন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কয়েকদিন আগেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার দাবি করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
এই নিয়ে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। অধীরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুর চড়িয়েছিলেন তৃণমূলের নেতারা। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনও মন্তব্য করেননি স্বয়ং বিচারপতি। তিনি স্পষ্ট জানান, এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য তিনি করতে রাজি নন।
উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই চাকরি গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।