লোন শোধ করতে না পেরে লিভ-ইন পার্টনারকে দিয়ে খুন – police arrested a woman and her live in partner from mumbai in connection with the murder of businessman raja bhowmik in nadia


এই সময়, তাহেরপুর: মাত্র ৬ দিনের মাথায় নদিয়ার তাহেরপুরের ব্যবসায়ী রাজা ভৌমিক খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। ধৃত চার জনের মধ্যে রয়েছেন রাসমণি বিশ্বাস নামে এক মহিলা। আর এই মহিলাই খুনের মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি করছে পুলিশ। বুধবার তাঁকে বর্ধমান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর রাসমণির লিভ-ইন পার্টনার দেবব্রত বিশ্বাস ওরফে দেবুকে বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে গ্রেপ্তার করে আনে পুলিশ। সেই সঙ্গে আরও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এঁরা কেউই পেশাদার খুনি নয়।

রাসমণির বাপের বাড়ি তাহেরপুর। তিনি নদিয়ার হবিবপুরে দেবুর সঙ্গে লিভ-ইন করেন। মাঝে মাঝে বর্ধমানেও গিয়ে থাকতেন রাসমণি। পুলিশের দাবি, রাসমণির কথায় এই দেবুই গুলি চালিয়ে রাজা ভৌমিককে খুন করেন। খুনে অভিযুক্ত সৌরভ মজুমদার এবং হৃদয় মণ্ডল নামে আরও দুই যুবক। সৌরভকে স্থানীয় নতুন পাড়ার বাড়ি থেকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজস্থানের জয়পুর থেকে হৃদয় মণ্ডলকে ধরে আনে পুলিশ। হৃদয়ের বাড়িও স্থানীয় নতুন পাড়ায়। তদন্তে জানা গিয়েছে, রাজা ভৌমিকের কাছে রাসমণি ৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে ফেরত দিচ্ছিলেন না। টাকা আদায়ে রাজা রাসমণিকে চাপ ও হুমকি দেন। এর পরেই নিজের লিভ-ইন পার্টনার দেবু ও অন্যদের দিয়ে রাজাকে খুন করান রাসমণি।

রানাঘাটের পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ এ দিন এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘নিহত রাজার কাছ থেকে সুদে পাঁচ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন রাসমণি। সেই টাকা বারবার ফেরত চেয়েও পাচ্ছিলেন না রাজা। টাকা ফেরত না পেলে পুলিশকে জানাবেন বলে হুমকি দিতেই সম্ভবত তাঁকে খুনের ছক কষে ফেলেন রাসমণি। এর পরে তাঁর কথা মতোই বাকিরা রাজাকে খুন করেন বলে অভিযোগ। খুনের ঘটনায় কোনও সিসি টিভি ফুটেজ পায়নি পুলিশ। কাউকে পালাতেও দেখেননি পড়শিরা। নিহতের পরিবারের লোকজনও নির্দিষ্ট করে কোনও সন্দেহের কথা পুলিশকে জানাতে পারেননি।’

তাহেরপুর থানার পুলিশ, রানাঘাট পুলিশের স্পেশাল অপারেশন টিমের সঙ্গে রানাঘাটের এসডিপিও, জেলা পুলিশের ডিএসপি (বর্ডার) এক যোগে অভিযান চালায়। ২০-২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করাও হয়। কিছু কারিগরি প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত তদন্ত করে দু’দিনে মোট চার দুষ্কৃতীকে ধরতে পেরেছে। এসপি বলেন, ‘রাসমণি বিশ্বাস এই খুনের মাস্টারমাইন্ড। তিনিই লোক লাগিয়ে খুন করান। তবে তিনি যাঁদের কাজে লাগিয়েছেন, তারা কেউই পেশাদার খুনি নয়।’

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তাহেরপুর থানার ভাদুড়ি গ্রামে বাড়িতে ঢুকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয় ব্যবসায়ী রাজা ভৌমিককে। বুধবার ধৃত রাসমণি এবং সৌরভকে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ধৃত হৃদয় ও দেবুকে রানাঘাট আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *