ঠিক কী জানায় সুপ্রিম কোর্ট?
সর্বোচ্চ আদালতের মন্তব্য, ‘যদি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের আপত্তি জানাতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এই নির্দেশ দিয়েছেন।
কলকাতা হাইকোর্টে বর্তমান যে বেঞ্চে মামলা রয়েছে সেখান থেকে মামলা স্থানান্তর করার জন্যও আর্জি জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সেই আর্জিও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসকে নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইডি। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ইডিকে বলেছিলেন বিচারপতি সিনহা। সেই মোতাবেক জমা দেওয়া হয় রিপোর্টটি।
এর আগেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার বিস্তারিত নথি আদালতে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সংশ্লিষ্ট সংস্থার ডিরেক্টরদের নাম, তাঁদের সম্পত্তি এবং সংস্থার লেনদেন, গ্রাহক কারা, সিইওর সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য, সংস্থার কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এই নির্দেশের পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে নথি চায় ED। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সংস্থা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জমা দিয়েছিলেন। সেই নথি ছিল ৫ হাজার ৫০০ পাতার। সেই নথি খতিয়ে দেখে আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল ED।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিকবার এজেন্সি রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। রাজনৈতিক স্বার্থে ED, CBI এবং আয়কর বিভাগের মতো দফতরগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন রাজ্য শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, এই মর্মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক শীর্ষ নেতা চিঠি দিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
যদিও পালটা BJP-র দাবি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখেছে মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি আইন মেনে কাজ করছে। তাদের কাছে কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হয় না। এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।