ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? কেন ট্রেনের মধ্যে এই ঘটনা ঘটালেন? তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ব্যান্ডেল-বর্ধমান লোকালে এই ঘটনাটি ঘটে। শীতের দিনে যাত্রী খুব একটা বেশি ট্রেনে ছিল না। কিন্তু, রাতে গুলি চলায় রীতিমতো কেঁপে ওঠেন নিত্যযাত্রীরা। সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিই কেন হঠাৎ এই পথ বেছে নিলেন? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই বর্ধমান জিআরপি তরফে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, পারিবারিক সমস্যা ছিল শুভংকরের। আর সেই দিয়ে দীর্ঘদিন সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সেই কারণেই কি এই চরম পদক্ষেপ? জানা গিয়েছে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনাটি বিচারাধীন।
উল্লেখ্য, বুধবার রক্তাক্ত হয়েছিল বর্ধমান স্টেশন। দুই এবং তিন নম্বর স্টেশনের মাঝে থাকা জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে। এরপর জলের তোড়ে স্টেশনের শেড ভেঙে মৃত্যু হয় তিন জনের এবং আহত আরও একাধিক। এদিন দুপুরের দিকে আচমকাই এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, জলের ট্যাঙ্কটি ১৩০ বছরের পুরনো ছিল।
রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, এই ট্যাঙ্কটির নিয়মিত রক্ষণাবক্ষণ করা হত। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল? ইতিমধ্যেই রেলের তরফে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিই দুর্ঘটনার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখবে। রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে আর্থিক সাহায্য।
যারা প্রয়াত হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকার আর্থিক সাহায্য করা হবে। যাঁরা গুরুতর আহত হয়েছিলেন তাঁদের ৫০ হাজার টাকা এবং যাঁরা সামান্য চোট পেয়েছিলেন তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে রেলের তরফে।