Bardhaman Accident : বাসের ধাক্কায় বাইক চালকের মৃত্যু! পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর উন্মত্ত জনতার, বর্ধমান তোলপাড় – one man lost his life in purba bardhaman bhatar area local started protest


পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। এই দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের বামশোর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্পিড ব্রেকারের দাবিতে রাস্তা অবরোধে সামিল স্থানীয়রা। প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা

ঠিক কী ঘটনা ভাতারে?

শুক্রবার এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান থেকে নতুনহাটগামী বাসটি বাদশাহী রোডের বামশোর এলাকায় নতুনহাট থেকে বর্ধমানেক দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় দ্রুতগতিতে আসা বাসটি একটি মোটরবাইককে সজোর ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে মৃত্য হয় মোটরবাইক আরোহীর। এরপরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে পুলিশকে দেহ তুলতে বাধা দেয় স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অত্যন্ত জনবহুল এলাকা হওয়া সত্ত্বেও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বারবার দাবি করা সত্ত্বেও এই এলায় স্পিড ব্রেকার তৈরি করা হয়নি। দ্রুতগতির গাড়ি যাতায়াতের ফলে প্রায় দিন এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। স্পিড ব্রেকারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয়রা।

অবরোধর কারণে রাস্তা যানজট তৈরি হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। পরে পুলিশি আশ্বাসে ওঠে অবরোধ। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মৃতের নাম ও পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ দাস বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে সবসময় জোরে জোরে গাড়ি চলাচল করে। প্রায় প্রত্যেকদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। স্পিডব্রেকারের দাবি জানানো হয়েছিল, পুলিশ তাও করেন। সেই কারণে আজ একটা তরতাজা প্রাণ ঝরে গেল।’

অন্যদিকে রাস্তা অবরোধের কারণে সমস্যার মুখোমুখি হন গাড়িচালকরা। এক লরিচালক বলেন, ‘এই রাস্তা সত্যিই ঝুঁকি পূর্ণ। মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে এটা ঠিক। কিন্তু সেই কারণে রাস্তা অবরোধ করে রাখা উচিত নয়। কারণ অনেকে এখান দিয়ে যাতায়াত করেন। তাঁদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *