Bardhaman Station : অনুসন্ধান কেন্দ্রে ফোনই নেই বর্ধমান রেল স্টেশনে – passengers are complaining call centre phone not working at bardhaman station


রূপক মজুমদার, বর্ধমান
জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে তিন রেলযাত্রীর মৃত্যুর পর বর্ধমান স্টেশনের একাধিক অনিয়মের বিষয় সামনে আসছে। যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, প্রথম সারির এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেশন হওয়া সত্ত্বেও বর্ধমান স্টেশনে সচল নেই অনুসন্ধান কেন্দ্রের ফোন। এই বিষয়ে রেলমন্ত্রী থেকে দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকদের কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে। কিন্তু, কাজ হয়নি।

জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বর্ধমান স্টেশনের প্রবেশদ্বারের ভবন ভেঙে পড়ার পর থেকে বিকল অনুসন্ধান কেন্দ্রের ফোন। এই স্টেশনে স্টপ রয়েছে প্রায় সব দূরপাল্লার মেল-এক্সপ্রেস ট্রেনের। বহু যাত্রীই আগাম তথ্য পেতে স্টেশনের অনুসন্ধান কেন্দ্রে ফোন করে ব্যর্থ হন। বর্ধমানের একটি স্কুলের শিক্ষক মানব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ট্রেনের সময়, অবস্থান জেনে যে রওনা দেবো তার উপায় নেই। স্টেশনে ফোন করে খবর নেওয়ার পরিকাঠামোই নেই। আমাকে সেই স্টেশনে গিয়ে অনুসন্ধান কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে খোঁজ নিতে হবে।’

শহরের মিঠাপুকুরের বাসিন্দা সুকান্ত দে বলছেন, ‘অনেকেরই পূর্বা এক্সপ্রেসের মতো দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কাটা ছিল। জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক কি না তা তাঁরা জানতে চেয়েছেন। কিন্তু, জানার উপায় নেই। অমৃত ভারত প্রকল্পে কয়েক কোটি টাকার কাজ হবে স্টেশনে। সেখানে বেসিক বিষয়গুলোর যদি এই হাল হয় তাহলে রেল কী পরিষেবা দিচ্ছে?’

বর্ধমান স্টেশনের অনুসন্ধান কেন্দ্রে ফোন ছিল। আগে পিএনটি টেলিফোন, পরে বিএসএনএল-এর ল্যান্ড লাইন। যাত্রীদের বক্তব্য, প্রযুক্তির যুগে স্টেশনে যেখানে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে যাত্রীদের জন্য অনুসন্ধান কেন্দ্রে ফোন না থাকা বেমানান। সমাজসেবী গৌরব শর্মা বলেন, ‘রেলের পদস্থ আধিকারিক থেকে রেলমন্ত্রীকেও আমরা লিখিত ভাবে জানিয়েছি। এক্স হ্যান্ডেলে (অতীতে টুইটার) অভিযোগ জানিয়ে রেলমন্ত্রীকে ট্যাগ করা হয়েছে। কিন্তু, কিছু হয়নি।’

স্টেশনে দুর্ঘটনার পর বহু যাত্রী ট্রেনের খবর জানতে অনুসন্ধান কেন্দ্রের সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন। কেউ কেউ মোবাইল থেকে ফোনও করেন। তাতে লাভ হয়নি।’ রেলের এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘এখন মোবাইল অ্যাপেই দেখা যায় ট্রেনের অবস্থান। তাহলে অনুসন্ধান কেন্দ্রে ফোন না থাকলে সমস্যা হবে কেন?’ যাত্রীদের পাল্টা প্রশ্ন, এ দেশে ক’জন মানুষের হাতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন রয়েছে?

ক’জন তা ঠিকমতো ব্যবহার করতে জানেন? পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র অবশ্য ওই রেল আধিকারিকের যুক্তি মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘মোবাইল অ্যাপে ট্রেনের তথ্য পাওয়া যাবে বলে অনুসন্ধান কেন্দ্রে ফোন থাকবে না, এটা যুক্তিগ্রাহ্য নয়। ফোন খারাপের বিষয়টি আমরা জানি। দুর্ঘটনার পর বহু যাত্রী খোঁজ নিয়েছেন বলেও আমরা জেনেছি। খুব দ্রুত অনুসন্ধান কেন্দ্রে ফোন বসানোর কাজ আমরা করে দিচ্ছি। যাত্রীদের আর সমস্যায় পড়তে হবে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *