Bardhaman Station Accident : ছিল না অ্যাম্বুল্যান্স, দাবি আহতদের – the accident victims alleged that there was no railway ambulance after the disaster at burdwan station


এই সময়, বর্ধমান: স্টেশনে বিপর্যয়ের পর রেলের কোনও অ্যাম্বুল্যান্স ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন দুর্ঘটনায় আহতরা। একই অভিযোগ নিত্যযাত্রীদেরও। তাঁদের কথায়, স্টেশনে বিপর্যয় মোকাবিলার কোনও পরিকাঠামো নেই। বুধবার জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে মৃত্যু হয় ৩ জনের। আহত হন ৩৪ জন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আহতদের হাসপাতালে পৌঁছতে বর্ধমান জিআরপি গাড়ি এবং অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেছিল। না হলে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। আহত দেব বৈরাগ্য বলেন, ‘ভগ্নস্তূপের নীচে চাপা পড়েছিলাম।

রেলের কেউ এগিয়ে আসেনি। যাত্রী, হকাররাই উদ্ধার করেন। কোনও অ্যাম্বুল্যান্স মেলেনি। টোটোয় তুলে আমাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। যন্ত্রণায় তখন শরীরে তীব্র কষ্ট। কোনওরকমে টোটোয় আসতে হয়েছে হাসপাতালে।’ নিত্যযাত্রী অশোক পাল বলেন, ‘ স্টেশনে ফার্স্ট এইড বক্স আছে কি না সন্দেহ। সেখানে অ্যাম্বুল্যান্স বা বিপর্যয় মোকাবিলার মতো বিষয় অনেক দূরের ব্যাপার। স্টেশনে কেউ পড়ে গেলে তাঁকে স্ট্রেচারে তুলে বাইরে আনার পরিকাঠামোও নেই। নিজের ঝুঁকিতে স্টেশনে যাতায়াত করতে হবে। কিছু হলে ক্ষতি হবে আমার, আপনার পরিবারের।’

বর্ধমানের মতো স্টেশনে অ্যাম্বুল্যান্স থাকার কথা। কিন্তু সেই পরিষেবা যে নেই তা স্বীকার করেছেন রেল আধিকারিকরা। বর্ধমানের স্টেশন ম্যানেজার স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের এখানে অ্যাম্বুল্যান্স নেই। হয়তো রাখা হবে।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরে জেলা বিপর্যয় দপ্তরের কর্মীরা খুবই সহযোগিতা করেছেন।’ জেলা বিপর্যয় দপ্তরের আধিকারিক প্রতীক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আমাদের ১৪ জনের টিম টানা ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কাজ করে ধ্বংসাবশেষ সরিয়েছে। ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে সাহায্য করেছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *