Bhangar News : সেচ দফতরের জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ, ভাঙড়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা – bhangar tmc leader accused for occupying government irrigation department land for illegal constructions


সেচ দফতরের প্রায় তিন একর জমি। সেই জমির উপরেই তৈরি হচ্ছে নির্মাণ কার্য। জলাশয় ভরাট করে নির্মাণ কার্য গড়ে তোলার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াল গ্রামবাসীরা। অবৈধ নির্মাণ কার্য তৈরির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এলাকায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভাঙড়ের দাপুটে নেতা কাইজার আহমেদ।

কী জানা যাচ্ছে?

সেচ দফতরের জায়গায় অবৈধ নির্মাণ কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ভাঙড়ে। ভাঙড় খালের পাশে সেচ দফতরের জায়গায় অবৈধ নির্মাণকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল শুক্রবার সকালে। জানা গিয়েছে, ভাঙড় ২ ব্লকের পাঁচগাছিয়া পালপাড়াতে সেচ দফতরের খালপাড়ে প্রায় ৩ একর খাস জমি আছে। অভিযোগ, সেই জমি অবৈধভাবে কিনেছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। সেখানেই তিনি জলাশয় ভরাট করে অবৈধ নির্মাণ করছেন।

বিক্ষোভ স্থানীয়দের

স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার একটি ক্লাবের জায়গাও দখল করে নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই স্থানীয় পাঁচগাছিয়া বিবেকানন্দ যুব সংঘ ওই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। শুক্রবার সকালে কাইজার আহমেদ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের সামিল হন গ্রামের কয়েকশো পুরুষ-মহিলা। ইতিমধ্যেই ওই জায়গা নিয়ে সরব হয়েছেন ক্যানাল ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ইতিমধ্যেই ভাঙড় দুই ব্লকের বিডিও ও কাশিপুর থানার ওসিকে চিঠি দিয়েছেন নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য।

স্থানীয়দের কী অভিযোগ?

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সংশ্লিষ্ট জমির মধ্যে একটি অংশে গ্রামের মানুষ পুজো পার্বণ থেকে শুরু করে একাধিক সামাজিক অনুষ্ঠান করে থাকে, সেই জায়গাটি ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। সেচ দফতরের সেই জায়গায় নির্মাণ করার কারণেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এদিন জড়ো হন গ্রামবাসীরা। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়।

Awas Yojana : ‘অযোগ্য’ হয়েও আবাসে ঘর! বেঁধে দেওয়া হল টাকা ফেরানোর ‘ডেডলাইন’
কী বলছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে কাইজার আহমেদ বলেন, যা সমস্যা ছিল তা মিটে গিয়েছে। আমাদের কেনা জায়গা আমরা বরং ক্লাবকে দান করছি। কোনও জমি দখল করছি না। তাঁর কথায়, উক্ত জমিটি ২০০৮ সালে কিনেছিলেন তিনি। ভূমি দফতরের কাগজপত্র ও নথি তাঁর কাছে রয়েছে। সেই জমির একটি অংশে স্থানীয় মানুষ পুজো পার্বণের আয়োজন করে থাকে। সেখানেই যাতে গ্রামবাসীরা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারে, তার জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *