বিচারপতির স্বামীকে তলব
বিচারপতি সিনহার স্বামী পেশায় একজন আইনজীবী। প্রভাব খাটিয়ে একটি ফৌজদারি মামলায় অবৈধভাবে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ৬৪ বছরের এক বিধবা মহিলা ও তাঁর মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা যাবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু কোনও বাড়তি পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়।
নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি এলভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলি থেকে জানা গিয়েছে, এই মামলায় ‘নির্ভয়ে’ সিআইডিকে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলায় কোনও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হলে তদন্তকারী সংস্থা যেন তা শীর্ষ আদালতকে জানায়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়। ডিসেম্বর মাসে পরবর্তী শুনানির দিন তদন্ত শেষ করে তা মুখবন্ধ খামে আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতির স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ মহিলার
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর কয়েকজন আত্মীয়ের জটিলতা তৈরি হয়, বাঁধে বিরোধ। সেই ঘটনার জল গড়ায় আদালত অবধি। আদালতে বিধবার আইনজীবী জানান তাঁর মক্কেলকে মারধর করা হয়েছে। এমনকী সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। বৃদ্ধা দুটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু বিচারপতি সিনহার স্বামী তদন্তকারীদের উপর প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে আদালতে দাবি করেন বিধবার আইনজীবী। এমনকী বিচারপতির বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন ওই বৃদ্ধা ও তাঁর মেয়ে।
বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি চলছে। তার মধ্যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের মামলা অন্যতম। বিচারপতি সিনহার নির্দেশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু সেই মামলা ফের কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। অনেকক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে আদালতে ভর্ৎসিত হতে হয়।