হকার উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত প্রশাসনের
পর্যটকদের স্বাচ্ছ্যন্দের কথা ভেবে দিঘাকে হকারমুক্ত করতে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিল দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। বৃহস্পতিবার দিঘায় অনুষ্ঠিত পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন উন্নয়ন পর্ষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক সৈকত হাজরা।
দিঘাতে হকারদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সৈকত সরণি জুড়ে হকারদের পসরা নিয়ে বসার কারণে পর্যটকদের ঘোরাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছে। হকারদের কারণে সৌন্দর্যায়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ প্রশাসনের। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বড়দিনের আগে দিঘাতে হাকার উচ্ছেদের কাজ শুরু হবে। ঠিক হয়েছে যেসব হকার স্টলের জন্যে আবেদন করেছিলেন সেই আবেদনকারীদের বাদ দিয়ে বাকি হকারদের উচ্ছেদ করা হবে।
কী বলছে প্রশাসন?
দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক সৈকত হাজরা বলেন, ‘আমরা ভাঙাভাঙি করতে চাইনা। সেকারণে অবৈধ হকারদের বড় দিনের আগে নিজেদের থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। শুক্রবার থেকে মাইকিং করা হবে। আর যাঁরা স্টলের জন্যে আবেদন করে এখনও পাননি, তাঁদের জন্যে পরিচয় কার্ড দেওয়া হবে। যাঁদের এই কার্ড থাকবে তাঁরাই ব্যবসা করতে পারবেন।’
অবৈধ নির্মাণ নিয়ে কড়া প্রশাসন
অন্যদিকে সৈকত শহরের অবৈধ নির্মাণ নিয়েও কঠোর প্রশাসন। জানা গিয়েছে, দিঘা, মন্দারণি, তাজপুরে একধিক অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্ষদে জমা দিতে বলা হয়েছে। যারা অনুমতিপত্র বা বৈধ কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সমস্ত অবৈধ নির্মান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০১১ সালে তৎকালীন জেলা শাসকের নির্দেশে জমির মিউটেশনের কাজ বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেই নির্দেশ বিবেচনার জন্যে বর্তমান জেলা শাসকের কাছে আবেদন করা হবে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিনের বৈঠকে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দের উপর জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পর্যটক আকর্ষণে দিঘাকে আরও বেশি করে সাজিয়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।