কী জানা যাচ্ছে?
জল জীবন মিশন প্রকল্পে এবার গতি আনতে শুক্রবার উলুবেড়িয়ায় প্রশাসনিক বৈঠক করলেন রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়। এদিন উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের সভাকক্ষে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার সহ পূর্ত দফতরের বিভিন্ন কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করলেন। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর সূত্রে খবর, হাওড়ায় এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে। হাওড়ায় সবচেয়ে ভালো কাজ হয়েছে আমতা দু নং ব্লকে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে আছে বাগনান এক নং ও তৃতীয় স্থানে আছে আমতা এক নং ব্লক।
কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে?
জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ায় এই প্রকল্পে মোট ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৯১০ টি পরিবারে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে এখনো পর্যন্ত ২ লাখ ৪৭ হাজার পরিবারে জল পৌঁছেছে। শতাংশের হিসাবে যা ৩৯.৮৯ শতাংশ। হাওড়া জেলার মধ্যে সবচেয়ে ভালো কাজ হয়েছে আমতা দু নং ব্লকে। এখানে ৫০১১৭ টি পরিবারের মধ্যে ইতিমধ্যে ৩৮৫৩০ টি পরিবারে পানীয় জল পৌঁছেছে। বাগনান ১ নং ব্লকের ৪৭ হাজার ৩৭৩ পরিবারের মধ্যে ২৭২৯১ টি পরিবারের জল পৌঁছেছে এবং আমতা এক নং ব্লকের ৫৪২৫১ টি পরিবারের মধ্যে ২৯ হাজার ৮৫৮ পরিবারের জল পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে।
কাজের গতি আনার উদ্যোগ
এদিন পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘জেলায় জেলায় গিয়ে এই বৈঠক করছি। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাশাপাশি হাওড়াতে এই বৈঠক করছি। ২০২৫ সালের মধ্যে সর্বত্র বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট রাখা হয়েছে।’ তাঁর কথায়, হাওড়ার উলুবেড়িয়া এবং সাঁকরাইলে দুটি বড় বড় সারফেস ওয়াটার প্রজেক্ট নির্মাণের কাজ চলছে। ২০২৪ এর মাঝামাঝি উলুবেড়িয়ার জল প্রকল্প চালু হয়ে যাবে। এরপর প্রকল্পটি চালু হয়ে গেলে উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লক, শ্যামপুর ১ ও ২ নং ব্লক এবং বাগনান ১ ও ২ নং ব্লক। সাঁকরাইলের প্রকল্প চালু হয়ে গেলে সাঁকরাইল, পাঁচলা, ডোমজুড় ও উলুবেড়িয়া ২ নং ব্লক উপকৃত হবে।