বৈঠকে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বালুর অনুপস্থিতিতে একটা শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে বলে স্বীকার করে নেন জেলা নেতৃত্ব। জ্যোতিপ্রিয়র বিধানসভা কেন্দ্র হাবরায় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে সাত জনের একটি পৃথক কোর কমিটি গঠন নিয়ে এ দিনের সভায় আলোচনা হয়েছে। দেগঙ্গা বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্বের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেই দ্বন্দ্ব মেটানোর বিষয়েও কথা হয়েছে।
তিন ঘণ্টা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য তথা বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘ব্লক, টাউন এবং দলের শাখা সংগঠনের যে কোনও কর্মসূচি নেওয়ার জন্য জেলা সভাপতির অনুমতি নিতে হবে। লোকসভা নির্বাচনে জেলার পাঁচটি কেন্দ্রই দখলে রাখবে তৃণমূল।’ এরপরেই তাপস বলেন, ‘বালু আমাদের দলের পুরোনো নেতা। তাঁর অনুপস্থিতি আমরা পূরণ করব। বালুর কেন্দ্র হাবরাকেও দল বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।’ সুজিত বসু বলেন, ‘বালুদার অনুপস্থিতি অস্বীকার করার জায়গা নেই।
একটা গ্যাপও হয়েছে। আমরা সকলে মিলে তৃণমূলকে এই জেলায় শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি।’ দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘সব দলেই দ্বন্দ্ব রয়েছে। আমাদের মধ্যে লড়াই অনেক কম।’ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘একেবারে বুথস্তর থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কী ভাবে লড়াই করা যায়, তা নিয়ে এদিন বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।’