Kolkata Metro : নতুন বছরেই একাধিক মেট্রো লাইনের আশা, জোর মহড়া অরেঞ্জ লাইনেও – kolkata metro work is progressing rapidly on orange line new garia airport branch from new garia to ruby junction


এই সময়: নতুন বছরে কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিশা দেখাতে চলেছে মেট্রো রেল। পরিকল্পনা রূপায়ণের তৎপরতায় আশায় বুক বাঁধছেন উত্তর থেকে দক্ষিণের যাত্রীরা। শুধু যে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশে ট্রেন চালানোর চেষ্টা চলছে এমনটাই নয়, একই দ্রুততায় কাজ চলছে অরেঞ্জ লাইন অর্থাৎ নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর শাখার নিউ গড়িয়া থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত অংশে ট্রেন চালানোর এবং পার্পল লাইন বা জোকা-বিবাদী বাগ শাখার তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত অংশে পরিষেবা সম্প্রসারণের। নতুন বছরের শুরুর দিকে এই তিন অংশে মেট্রো চললে বিপুল-সংখ্যক যাত্রী উপকৃত হবেন।

কলকাতা মেট্রোর অরেঞ্জ লাইন লাইন পরিদর্শন করছেন সংস্থার কর্তারা। খোদ জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি এই দলে রয়েছেন। এ ছাড়া ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে ইএম বাইপাসের ওপর দিয়ে কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অর্থাৎ রুবি মোড় পর্যন্ত মহড়াও নতুন করে চালু হয়েছে। অরেঞ্জ লাইন বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণের জন্য অনেক দিন আগে থেকেই তৈরি। এবার কি প্রতীক্ষার অবসান?

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশ আপাতত কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির (সিআরএস) পরিদর্শনের অপেক্ষায়। যত দ্রুত সম্ভব গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রোরেল চালাতে মরিয়া ভারতীয় রেলবোর্ড। ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনের আগে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশে মেট্রো চলতে শুরু করলে ভোটবাক্সে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করছে কেন্দ্রের শাসকদল। ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই অংশে মেট্রো চালু হলে যাত্রীরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই হাওড়া ময়দান এবং হাওড়া স্টেশন থেকে ধর্মতলা চত্বরে পৌঁছে যাবেন। ব্রেবোর্ন রোড এবং স্ট্র্যান্ড রোডের বিরাট যানজটের ঝামেলা থাকবে না।

অরেঞ্জ লাইনের দৈর্ঘ্য ৩২ কিলোমিটার। কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এটিই শহরের দীর্ঘতম মেট্রো রুট। এই রুটেরই ৫.৪ কিলোমিটার অংশে প্রাথমিক ভাবে ট্রেন চালিয়ে উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের। ২০২২-এর সেপ্টেম্বরে এই রুটে মহড়া চলে। ফেব্রুয়ারিতে কবি সুভাষ থেকে রুবি পর্যন্ত অংশে যাত্রী পরিবহণের অনুমতি দেন সিআরএস প্রতিনিধিরা।

কিন্তু তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত এই লাইনে যাত্রীরা যাতায়াত শুরু করতে পারেননি। এই অংশটি চালু হলে যাত্রীরা নর্থ-সাউথ মেট্রোয় কবি সুভাষ পর্যন্ত এসে সেখান থেকে ট্রেন বদল করে রুবি পর্যন্ত আসতে পারবেন। বাসের ঝক্কি পোহাতে হবে না। অরেঞ্জ লাইনের এই অংশেই ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালিয়ে ‘সব কিছু ঠিক আছে’ কি না সেটাই পরীক্ষা করে নিচ্ছেন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (আরভিএনএল) ইঞ্জিনিয়াররা।

অন্য দিকে পার্পল লাইন অর্থাৎ জোকা-বিবাদী বাগ শাখার জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত ৬.৫ কিলোমিটার অংশে ইতিমধ্যেই পরিষেবা চালু হয়েছে। একটি রেক জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত যাতায়াত করছে। তারাতলার পরের স্টেশন মাঝেরহাট পর্যন্ত পরিষেবা সম্প্রসারণ শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। তারাতলা পর্যন্ত অংশে ট্রেন চলায় যাত্রীদের যে খুব সুবিধা হচ্ছে এমন নয়। ট্রেন থেকে নেমে অনেকটাই হেঁটে তাঁদের অটো ধরতে হয়। কিন্তু মাঝেরহাট পর্যন্ত পরিষেবা সম্প্রসারিত হলে যাত্রীরা সহজেই শিয়ালদহ পর্যন্ত আসার ট্রেন ধরতে পারবেন।

কলকাতা মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলছেন, ‘কয়েক মাসের মধ্যেই মেট্রো পরিষেবা অনেকটা বদলে যেতে চলেছে। ২০২৬ নাগাদ শুধু মেট্রোর ভরসায় কলকাতার পরিবহণ মানচিত্রের আমূল পরিবর্তন হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *