কী জানা যাচ্ছে?
চলতি পর্যটন মরশুমে এক ছাতার তলায় মিলবে মুকুটমণিপুর সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য। শুক্রবার এই খবর জানিয়ে খাতড়ার মহকুমাশাসক তথা মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে এবারই প্রথমবার ট্যুরিষ্ট ইনফর্মেশান সেন্টার খোলা হয়েছে। এখানে থেকেই মুকুটমণিপুর সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে।
আর কী কী আয়োজন?
এছাড়াও এখানে আগত পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে ই-সাইকেল পরিষেবা, প্রি ওয়েডিং ফটোশ্যুট, দু’ঘণ্টারর বিশেষ নৌ ভ্রমণ পরিষেবা চালু হয়েছে। এই সমস্ত পরিষেবা অনলাইনের মাধ্যমে বুকিং করা যাবে বলে তিনি জানান। এছাড়াও মুকুটমণিপুরে আসা সমস্ত পর্যটকরা জিম সেন্টারে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জিম পরিষেবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, জল, জঙ্গল আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে বছযভর অসংখ্য পর্যটক ‘বাঁকুড়ার রানি’ মুকুটমণিপুরে আসেন। বিশেষ করে পর্যটন মরশুমে সেই সংখ্যা আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই প্রতিটি পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও মনোরঞ্জনের কথা ভেবে খাতড়া মহকুমা প্রশাসন ও মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদ সর্বদা সচেষ্ট বলেই জানানো হয়েছে।
মোহময়ী মুকুটমণিপুর
বাঁকুড়ার একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে কংসাবতী ও কুমারী নদী যেখানে মিশেছে সেখানেই গড়ে উঠেছে বিস্তৃত জলরাশি নিয়ে এই মুকুটমণিপুর জলাধার। চারিদিক বিস্তৃত ঘন নীল জলের মাঝেমাঝে উঁকি দিচ্ছে অসংখ্য ডুবো পাহাড়। জলাধারের চারিদিকে চোখ মেললেই দেখা যাবে সবুজে ঢাকা ছোট ছোট পাহাড় আর টিলা। কাছেপিঠে জলাধারের গায়ে ঘুরে আসতে পারেন পরেশনাথ পাহাড়ে। এছাড়াও নৌকায় চড়ে মুকুটমণিপুরের জলে ভেসে পৌঁছে যাওয়া যাবে জলাধারের অন্য পাড়ে থাকা ডিয়ার পার্কেও। মনোরঞ্জনের একাধিক ব্যবস্থা রয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্রে। এর পাশাপাশি, আরও নতুন কিছু পরিষেবা এবার অপেক্ষা করছে পর্যটকদের জন্য।