Parliament Security Breach : লোকসভায় ‘গেরিলা’ বিক্ষোভের মাস্টারমাইন্ড ললিতের সঙ্গে একফ্রেমে তৃণমূলের তাপস! সরব BJP – bjp claims connection between parliament security breach main accuse lalit jha with tmc mla tapas roy


লোকসভার ভিতরে গ্যাস ক্যানিস্টার নিয়ে রং ছড়ানোর থেকে শুরু করে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান- সবকিছুর মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছিল ললিত ঝার নাম। বৃহস্পতিবার রাতে ললিত নিজেই দিল্লির কর্তব্য পথ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। এদিকে এই ললিতের সঙ্গে ‘তৃণমূল যোগ’-এর দাবি শোনা গেল BJP-র কণ্ঠে। তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের সঙ্গে ললিতের একটি ছবি প্রকাশ্যে এনেছে গেরুয়া শিবির। ছবিটির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। আর এই ছবিটিকে সামনে রেখেই সরব BJP।

ঠিক কী অভিযোগ করা হয়েছে BJP-র পক্ষ থেকে?

লোকসভায় ‘রং বাজি’-র ঘটনায় সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীরা। পালটা সরব হতে দেখা গেল BJP-কেও। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একটি টুইট করেন এবং সেখানে তিনি লেখেন, ‘গণতন্ত্রের মন্দিরে হামলার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝার সঙ্গে তৃণমূলের তাপস রায়ের দীর্ঘদিন যোগাযোগ ছিল। এই প্রমাণই কি নেতার যোগসাজশের তদন্তের জন্য যথেষ্ট নয়?’

শুধু সুকান্ত মজুমদার নয়, এই ছবিটিকে সামনে রেখে সরব হয়েছিলেন BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি এই ছবিটিকে সামনে রেখে বলেন, ‘তৃণমূলের বিধায়ক তাপস রায়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছে লোকসভার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ললিতকে। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।’

ঠিক কী বলছেন তাপস রায়?
একদিকে যখন ওই ছবিটিকে নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতারা সেই সময় ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং তাপস রায়। তিনি বলেন, ‘এই নিয়ে টুইট করে কিছু হবে না। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি রয়েছে। তারা তদন্ত করে প্রমাণ করুক। সিবিআই, এনআইএ রয়েছে। যদি চায় সেক্ষেত্রে তারা রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্যও নিতে পারে। এই সমস্ত অভিযোগ-ঘনিষ্ঠতা চাইলে বার করুক। প্রমাণ করতে পারলে সাজা হোক। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ফাজলামো হচ্ছে?’

Parliament Security Breach : সংসদে ‘রংবাজি’ হামলার রহস্য লুকিয়ে ৬টি মোবাইলে, চাঞ্চল্যকর তথ্য তদন্তকারীদের
ছবিটি কবে তোলা? আদতে তা কি সত্যি? এই নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। বিষয়টি নিয়ে তাপস রায় সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমে জানান, আমরা পাবলিক লাইফে রয়েছি। অনেকেই আমাদের সঙ্গে ছবি তোলেন। শুনেছি ওটা নাকি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তা তোলা। আমি তাকে নামে বা চেহারা দিয়ে চিনি না।’ সবমিলিয়ে এই আক্রমণ এবং পালটা আক্রমণে রীতিমতো তুলকালাম পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *