Raj Bhavan : কোর্ট-ইসির বৈঠক ডাকুন, বিজ্ঞপ্তি জারি রাজভবনের – raj bhavan has issued guidelines for convening meetings of the court executive council highest policy making body of the vice chancellors of the state universities


এই সময়: ১৯৭৯-র বিশ্ববিদ্যালয় আইন উদ্ধৃত করে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক সংস্থা কোর্ট, এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিল, সেনেট বা সিন্ডিকেটের বৈঠক ডাকার নির্দেশিকা জারি করল রাজভবন। রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসের তরফে একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ভিসি-রা পিজি বোর্ড অফ স্টাডিজের মতো নীতি নির্ধারক বডির মিটিংও ডাকতে পারেন। আগে যাদবপুর, কলকাতা-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসি বা সিন্ডিকেট মিটিং আটকে দেয় রাজ্য।

এতে রাজ্যের হাতিয়ার ছিল ২০১৭ সালে পাশ হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ২০১৯ সালে প্রকাশিত রুল। যা অনুযায়ী রাজ্য সরকার জানিয়েছিল এই মিটিংগুলি করা যাবে না। কিন্তু এ দিনের বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্যপাল দাবি করলেন – ‘মনে হয়, ২০১৯-এর ওই রুল আইনসিদ্ধ নয়। ফলে মিটিং ডাকতে গেলে ওই রুল না দেখলেও চলতে পারে।’ এ নিয়ে আচার্যকে তীব্র কটাক্ষ করেছে প্রাক্তন উপাচার্যদের সংগঠন ‘এডুকেশনিস্ট ফোরাম’।

এ বিষয়ে চেষ্টা করেও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সূত্রের দাবি, এই বিষয়গুলি সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনতে চলেছে রাজ্য। তবে ভিসিরা কেন রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই এ ধরনের বৈঠকগুলি ডাকতে পারেন, সেটা ব্যাখ্যা করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথা আচার্যই। তিনি উপাচার্যদের নিয়োগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে উপাচার্যদের যে কোনও বৈঠক ডাকার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। শুধুমাত্র কোর্ট মিটিংয়ের জন্য রাজ্যপালের থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে।

যাদবপুর ও কলকাতাকে ইতিমধ্যে দু’বার ও তিনবার চিঠি দিয়ে ইসি বা সিন্ডিকেট মিটিং বাতিল করার কথা বলেছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। দপ্তরের যুক্তি ছিল, রাজ্যপাল নিযুক্ত ভিসিরা স্থায়ী নন এবং তাঁরা সে অর্থে অস্থায়ী ভিসিও নন, ভিসির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন, তাই এই বৈঠক ডাকা যাবে না। যদিও রাজ্যের আপত্তি উড়িয়ে গত মঙ্গলবারই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট বৈঠক হয়।

এডুকেশনিস্ট ফোরামের তরফে ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, ‘হাইকোর্ট এই ভিসিদের মান্যতা দেয়নি। সুপ্রিম কোর্ট ভিসিদের ভাতা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যপাল অতীতে ভিসিদের নিয়োগের যে অর্ডার ইস্যু করেছেন, তাতে তিনিও বলেছেন এঁরা কেবল দায়িত্ব সামলাবেন। তা হলে এখন আবার উল্টো কথা বলছেন কেন?’ ওমপ্রকাশের সংযোজন, ‘আসলে রাজ্যপাল হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টকেও মানছেন না। তাই মনগড়া নির্দেশিকা পাঠিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজ্য সরকারকে অবমাননায় বাধ্য করছেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *