কী বললেন শুভেন্দু?
শুক্রবার হলদিয়ায় একটি সভাতে অংশগ্রহণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকেই তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পা ধরে কোনও লাভ হবে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সময় চাইলে নিয়মমাফিক উনি সময় দেন। লাভ কিছু হবে না।’ অর্থাৎ, রাজ্যের বকেয়ার দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কাছে দরবার করলেও কোনও আর্থিক সাহায্য মিলবে না বলে আগেই জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কেন বকেয়া মিটবে না?
শুভেন্দু এদিন জানান, আগে চোরেরা জেলে যাবে। তারপর প্রকৃত উপভোক্তারা কাগজ গুছিয়ে রাখবেন। আমরা আপনাদের টাকা দেব। তিনি বলেন, ‘ আপনাদের যাঁরা টাকা মেরেছে, আগে তাদের জেলে দেখতে চাই। আমরা সিবিআই চাই। আবাস যোজনার চোরদের নাম বাতিল করতে হবে, যাঁরা প্রকৃত প্রাপক, তাঁদের নাম যুক্ত করতে হবে।’ শুভেন্দু অধিকারী এদিন জানান, উত্তরবঙ্গের ন্যায় আগামী ২০ তারিখও তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার হলদিয়ায় সতীশ সামন্তর জন্মবার্ষিকীতে একটি বিশেষ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বিজেপি। সেই সভার প্রধান বক্তা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী আগামী দিনে তমলুক, কাঁথি কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থীদেরকে লোকসভা নির্বাচনে জেতানোর ব্যাপারে বার্তা দিয়ে যান। আওয়াজ তোলেন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে একাধিক দুর্নীতি নিয়েও।
উল্লেখ্য, আগামী ১৮ তারিখ দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত, বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের কারণেই তাঁর দিল্লি সফর তৈরি হয়। এরই মাঝে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের জন্য সময় চেয়েছিলেন তিনি। সেই মোতাবেক আগামী ২০ ডিসেম্বর বেলা ১১টা নাগাদ সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া টাকা নিয়েই সেদিন মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক সাংসদের থাকার কথা রয়েছে এই বৈঠকে। তবে, সেদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনও প্রতিশ্রুতি না পেলে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনের পথেই তৃণমূল হাঁটবে বলে মনে করা হচ্ছে।